পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
৫৯
দণ্ডবিধান করিব। ইতি দিল্লী-সম্রাটের ফার্‌মান্ অনুসারে বাঙ্গালা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব সকতজঙ্গ।”
সিরাজ। এ পত্রের কি বিধান?
জগৎ। উন্মাদ!
রায়দুঃ। দণ্ড বিধান কর্ত্তব্য।
মীরজাঃ। এখন বর্ষাকাল উপস্থিত। ইংরাজ-যুদ্ধে সৈন্যেরা ক্লান্ত। এখন সৈন্য পরিচালনার বিশেষ অসুবিধা।
সিরাজ। শেঠজীর অনুমান সকতজঙ্গ, “উন্মাদ”! কিন্তু দিল্লীর সনন্দের কথা কি? আর আমাদের অমাত্যদিগকে বা সকতজঙ্গ কি নিমিত্ত তার নিজের কর্ম্মচারী ব’লে উল্লেখ ক’রেছে?
জগৎ। জনাব, মদ্যপায়ীর প্রলাপ—প্রলাপ!
সিরাজ। প্রলাপ? সনন্দ প্রলাপ?
জগৎ। জনাব, প্রলাপ ব্যতীত আর কি হ’তে পারে?
সিরাজ। ভাল, রীতি আছে যে শেঠ বংশধরগণ, বাঙ্গ্‌লার নবাবের জন্য দিল্লী হ’তে ফার্‌মান আনয়ন করেন। সুতরাং আমাদের নিমিত্ত ফার্‌মান আনা আপনার উপর ভার, সে ফার্‌মান কি আনা হ’য়েছে?
জগৎ। অর্থের অভাবে আনা হয় নাই।
সিরাজ। রাজকোষে অর্থের অভাব বা শ্রেষ্ঠিবরের অর্থের অভাব? শ্রেষ্টিগণ নিজ অর্থব্যয়ে পূর্ব্বে পূর্ব্বে ফার্‌মান আনয়ন করেছেন, পরে রাজ-অর্থে আপনার অর্থ পরিশোধ করে ল’য়েছেন। এস্থলে সে কার্য্য কেন হয় নাই?
জগৎ। অর্থের অভাব—অর্থের অভাব।