পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০
সিরাজদ্দৌলা
সর হইলাম। ইহাতে নবাব বাধা প্রদান করেন, দুঃখের বিষয় বটে—রাজ্যে যুদ্ধ-বিগ্রহ বড় অমঙ্গলের কারণ, কিন্তু আমরা নিরস্ত থাকিব না। ভরসা করি—”
সিরাজ। থাক্, মর্ম্মতো এই।
মীরমঃ। হ্যাঁ জনাব!
সিরাজ। পত্র কার স্বাক্ষরিত?
মীরমঃ। সাবৎজঙ্গ। ইনি কর্ণেল ক্লাইব, দাক্ষিণাত্যে নিজাম সেলাবৎজঙ্গের নিকট এই উপাধি প্রাপ্ত হন।
সিরাজ। (মীরজাফরের প্রতি) খাঁ বাহাদুর, এরূপ পত্রের তো কোন সংবাদ আমাদের নিকট নাই?
মীরজাঃ। জনাব, এ পত্রের বিষয় বান্দাও কিছু অবগত নয়।
সিরাজ। শেঠজি, রাজা রায়দুর্লভ, রাজা রাজবল্লভ, আপনারা কিছু অবগত আছেন?
সকলে। না জনাব!
সিরাজ। এই পত্রের মর্ম্মে প্রতীত হচ্ছে, যে বিতাড়িত ইংরাজ, কলিকাতা পুনরধিকার করবার নিমিত্ত প্রস্তুত। এখন ইংরাজ কোথায় তা কি কেউ অবগত আছেন? সকলেই নীরব! বুঝ্‌লেম না!—আমরা অযোগ্য কর্ম্মচারীবেষ্টিত নই। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই, যে রাজ্যের পরম শত্রু ইংরাজ, কোথায় কি অবস্থায় অবস্থিত, এ সংবাদ কোন অমাত্যেরই গোচর নয়! কলিকাতা হ’তে বিতাড়িত হ’য়ে ইংরাজ যখন সাতিশয় দুরবস্থায় বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত, তাহাদের প্রতি নবাবের অনুকম্পা হয়—এ সকল আবেদন, আমাদের নিকট অমাত্যবর্গ করেন; আমরাও তাঁদের আবেদন সম্পূর্ণ গ্রাহ্য করেছিলাম। ইংরাজের দুঃখের অবস্থা সকলে অবগত ছিলেন, কিন্তু