পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৪
সিরাজদ্দৌলা
হওয়া উচিত। কৌশলে সকলের মনোভাব বুঝে দেখি, সিরাজের প্রতি সকলই বিরূপ। ওঃ—এ রাজ্য-আশা কি সফল হবে!

রায়দুর্লভ, জগৎশেঠ মহাতাবচাঁদ ও স্বরূপচাঁদ, রাজবল্লভ, মাণিকচাঁদ প্রভৃতির প্রবেশ

নবাব কি বল্লেন?
জগৎ। কিছু না,—নিঃশব্দে হস্তী-পৃষ্ঠে আরোহণ ক’রে রাজপুরী অভিমুখে গমন করলেন!
মীরজাঃ। আমরা সে পত্র গোপন ক’রে ভাল করি নাই। এখন নবাবের কিরূপ আজ্ঞা হবে কে জানে! একে তো আমাদের সকলের উপর সন্দেহ, পত্র গোপন করায় সে সন্দেহ দৃঢ়ীভূত হয়েছে। অপর দণ্ড না হোক, বিশেষ অপমানিত হতে হবে নিশ্চয়।
জগৎ। আমাদের তো পত্র গোপন কর্‌বার ইচ্ছা ছিল না। ইংরাজের পত্র যদি নবাবকে দেওয়া হতো, তাহলেও নবাব ক্রুদ্ধ হ’তেন, ভাব্‌তেন আমাদের ষড়যন্ত্রে এরূপ পত্র লিখেছে। বিশেষ ইংরাজ এত শীঘ্র কলিকাতা আক্রমণ কর্‌তে সাহস কর্‌বে, এরূপ আমাদের দ্বারা অনুমিত হয় নাই।
মাণিক। ইংরাজ অতি উদ্যমশীল,—বোধ হয় পত্রের উত্তর আস্‌বার অপেক্ষাও করে নাই। এরূপ গোপনে কার্য্য করেছিল, যে যখন সসৈন্যে ক্লাইব বজ্‌বজের নিকট উপস্থিত হলো, তখন সংবাদ পেলেম। গণনায় তিন সহস্র সৈন্য আমার নিকট ছিল বটে, কিন্তু সকলেই অকর্ম্মণ্য; ইংরাজের সম্মুখীন হয়, এমন সৈন্য আমার ছিল না। ইংরাজের রণতরী অতি অদ্ভুত—চলৎ দুর্গ!—এই রণতরী বলেই ইংরাজ এত প্রতাপশালী।