পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১০৪

दियूनना नाश्जी दयेगा (ट अन अदि४ गु% 4'४७ भागिन । नट्रगीख গোলন্দাজগণ অবিশ্ৰান্ত গোলা নিক্ষেপে মুসলমান পক্ষের বহু ক্ষতি সাধন করিল। হােসেন নিজাম শাহু ক্ৰোধে সিংহের ন্যায় গর্জন করিয়া একদল যোদ্ধাকে প্রাণের মমতা ত্যাগ করিয়া তোপের উপর পািড়য়া, তোপ৷ কডিয়া লইতে বলিলেন । বঙ্গীয় পাঠান-বীর ঈসা খাঁ তোপের উপর পড়বার জন্য ৫০ জন আত্মোৎসর্গকারী বীরপুরুষকে আহবান করিলেন। তাহার আহবানে তাহার অধীনস্থ দুই সহস্ৰ যোদ্ধার প্রত্যেকেই শহীদ হইবার জন্য লালায়িত হইয়া তোেপ কড়িয়া লইবার জন্য উদ্যত হইলেন। ঈসা খাঁ তাঁহাদের রণোন্মত্তত দর্শনে অতিমাত্র উৎসাহিত হইলেন এবং সকলকে নিরন্ত করিয়া বঙ্গীয় যুবকদিগের মধ্য হইতে বিনা বিচারে পঞ্চাশজনকে গ্রহণপূর্বক বিদ্যুদ্বেগে তোপ লক্ষ্য করিয়া ঘোড়া দুটাইলেন। বাজ পক্ষী যত দ্রুত চটকের উপর বা নেকড়ে বাঘা যত সত্বর মেষপালের উপর উৎপতিত হয়, ঈসা খী বাঙ্গালী যোদ্ধৃগণকে লইয়া তদপেক্ষা তীব্ৰ বেগে, ভীষণ ঝটিকাবর্তের ন্যায় মুক্ত কৃপাণ করে “আল্লাহু আকবর” রবে গোলন্দাজ সেনার উপরে পতিত হইলেন!! গোলার আঘাতে ৪৩ জন সৈনিক এবং পয়ত্রিশটি অশ্বদেহ চুৰ্ণবিচূর্ণ হইয়া গেল। সাতজন মাত্র বীর করােল কৃপাণ করে তোপখানার উপর পতিত হইয়া তরবারির ক্ষিপ্ৰ প্ৰহারে তোপ-পরিচালক গোলন্দাজগণকে খণ্ড খণ্ড করিয়া কাটিয়া ফেলিলেন। সমুদ্রের তরঙ্গের ন্যায় তোপখানা রক্ষা করিবার জন্য চতুর্দিক হইতে সৈন্যদল আসিয়া ভীষণ বিক্রমে তাহাদিগের প্রতি অন্ত্রশস্ত্ৰ নিক্ষেপ করিতে লাগিল। সপ্তজন মুসলমান গাজী রুদ্ধশ্বাসে চরম বিক্রমে তরবারি ঢালাইতে লাগিলেন। দুইজন বিশেষ আহত এবং অবশিষ্ট পাঁচজন শরীরের স্থানে স্থানে আঘাত প্রাপ্ত হইয়াও ক্ষুদ্র শৈলের ন্যায় অসংখ্য সৈন্যের ভীষণ আক্রমণরূপ নদীর প্রবাহকে গুরুতর বাধা প্ৰদান করিলেন। ওদিকে মুসলিম বাহিনীর অগ্রগামী দলের সৈন্যগণ আসিয়া পড়ায় হিন্দু সেনা তোপখানা পরিত্যাগ করিয়া বৃকতাড়িত শৃগালের ন্যায় পশ্চাদগামী হইল। মুসলমান সেনা তখন তোপের মুখ ফিরাইয়া হিন্দু সেনাকে লক্ষ্য করিয়া তোপ দাগিতে লাগিল । চতুর্দিক বজনির্ঘোিষ-নিনাদিত বনভূমির ন্যায় ভীতিসন্ধুল হইয়া উঠিল। তোপের গোলার অভাব হওয়ায় সোলতান নিজাম শাহ রাশি রাশি পয়সা পুরিয়া তোপ দাগিতে আদেশ করিলেন। তাহাতে গোলা অপেক্ষা অধিকতর সুফল ফলিল । পয়সাগুলি বিছুরিত হইয়া চতুর্দিকে বিক্ষিপ্ত হওয়ায় বহুসংখ্যক হিন্দু সেনা আহত এবং নিহত হইল। তাহার ফলে অবশিষ্ট সৈন্য-বুঢ়ােহ ভগ্ন করিয়া নগরাভিমুখে পলায়নপর হইল। মোসলেম সেনা পলায়নপর হিন্দু সেনার পশ্চাদ্ধাবিত হইয়া তাহাদিগকে হত্যা করিতে লাগিল। হিন্দু সেনা নগরে প্রবেশ করিয়া নগরদ্বার কুন্তু করিল এবং নগর পরিবেষ্টন করিয়া যে পরিখা ছিল, তাহার সেতু তুলিয়া ফেলিল ।