পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমৰ্পণ করিয়া প্ৰেমদেবতা রূপে বরণ করিয়া অন্তরের অন্তস্তম প্রদেশে প্রীতির LDBB DBBBDDDS SBB DtBDK 0DB DBDBD BBD BDDD বসিয়াছে।--নেত্রে যারার পরামরূপ সর্বদা দীপ্তি পাইতেছে-কৰ্ণে যাহার গ্ৰীতিমাখা মধুরবাণী সর্বদা পীযুষ ধারা বর্ষণ করিতেছে—হৃদয়ের প্রতি অণুপরমাণু যাহার প্রেমসুধায় আকৃষ্ট এবং বিহ্বল, তাহার সেই সুখদ বসন্তের প্রাণজুড়ান, মন-মাতান মলয় সমীরণ, তাহার হৃদয়-আকাশের সেই শরচ্চন্দ্র, তাহার জীবন-মরুর সেই বর্ষণশীল-বারিদখণ্ড, তাহার আতপদস্থ পথের সেই সুশীতল বটলচ্ছায়া, তৃষ্ণার্তজীবনের সেই অমৃতনির্ধািরণী, জীবন-তরুণীর সেই ধ্রুবতারা, মানসকুঞ্জের সেই বসরাই গোলাপ, তাহার পিতার অসন্মতিতে এবং স্বীয় জননীর অমতে তাহাকে আদর করিয়া চরণতলে স্থান দিতে কি সমর্থ হইবেন? তাহাকে কি তিনি স্মরণ করিতেছেন? তিনি কি তাহাকে উদ্ধার করিতে সমর্থ হইবেন? যদি DD DS DDB DD DB DDB B BDBS BDB D BDBD DS DB DDBB পদে জীবন-যৌবন ডালি দিয়া বসিয়াছি, তাহকে আমি পাইব না! তাহার চরণে আমাকে সমৰ্পণ করা হইবে না। কিন্তু যাহাকে আমি জানি না-চিনি না-চহি না, আমাকে নাকি তাহার হস্তেই দেওয়া হইবে। বিধাতঃ! ইহাই যদি ধর্ম হয়, তবে আর অধৰ্ম কাহাকে বলে? ইদিলপুরের শ্ৰীনাথ চৌধুরীর সঙ্গে বিবাহেব কথা নাকি পাকাপাকি হইয়াছে, অথচ আমি তাহার বিন্দু-বিসর্গ পর্যন্ত অবগত নহি, ইহা অপেক্ষা শ্ৰীজাতির প্রতি ভীষণ অত্যাচার আর কি হইতে পারে? হায়! হিন্দুজাতির বিচারে কি স্ত্রীলোকের আত্মা নাই!—বিচার নাই! নিজের সুখ-দুঃখ বোধ নাই! স্ত্রীলোক কি জড় পদাৰ্থ কিংবা খেলার দ্রব্য, যে তাহার রুচি, অনুরাগ, ইচ্ছ। এ-সমস্ত সম্বন্ধে কিছুই বিবেচনা করা হয় না—জিজ্ঞাসা করা হয় না! হা বিধাতঃ! এমন জাতিতে স্ত্রীলোক কেন জন্মে? যদি জন্মে। তবে বলেই মরে না কেন? যদি না মরে, তবে তাহার রুচি, অনুরাগ, বিচারশক্তি হরণ করা হয় না। কেন? থাক সে সব। এক্ষণে কোন পন্থা অবলম্বন করিব? হায়! কি কুক্ষণেই ঈসা। খাঁর সেই চাঁদ বদন দর্শন করিয়াছিলাম। হায়! কিছুতেই যে সে মুখের শোভা, সে বিশ্বকারিত আঁখির মধুময়ী দৃষ্টি, সে কণ্ঠের অমৃত-নিসাদিনী-বাণী তুলিতে পারি না। সে-হৃদয় যেন অফুরন্ত প্ৰেমপারাবার, তাহাতে ডুবিলে যেন সমস্ত জ্বালা জুড়াইয়া যায়। সমস্ত আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়। তাহাকে পাইলে আর কিছুই পাইতে বাকী থাকে না। তাহার কথা স্মরণে কত আনন্দ, কত উল্লাস। সে নাম স্মরণেও হৃদয়ের পরতে পরতে সুধা সঞ্চিত হয়! হায়! তেমন সুন্দর, তেমন প্ৰিয়, আনন্দকার আর কে? এইরূপ দুশ্চিন্তায় রায়-নন্দিনী দিন যাপন করিতে লাগিল । আশ্বিন মাস যাইয়া কার্তিক মাস যায়। দ্বর্ণময়ীর বিবাহেব জনা আয়োজন হইতে লাগিল। আগ্রহায়ণ মাসের ২৭শে তারিখে বিবাহ। রাজবাড়ীর দাস-দাসী, SOS