পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্রুবা, করাচী হইতে লুষ্ঠিত এক জোড়া হীরকের কঙ্কণ এবং লক্ষ টাকা মূল্যের পারস্যসাগর-জাত একটি মুক্তামালা আমিনা বানুকে উপহার প্রদান করিলেন। BB BDB DDD BESiE DESuB BuD DB BD DDB DDB করিবার জন্য উপযুক্তরূপে শিক্ষিতা কড়িপয় ধূর্ত শ্ৰীলোক দাসী-স্বরূপ প্রেরিত হইল। ইহাদের কর্তব্য ছিল-ক্রমশঃ শিরাজীর গুণকীর্তন করিয়া আমিনা বানুকে শিবাজীৱ প্ৰতি অনুরক্ত ও মুণ্ড করা। শিবাজীর উদারতা এবং মহত্ত্ব দেখিয়া সকলেই ধন্য ধন্য করিতে লাগিল। বীরাঙ্গনার প্রতি এই প্ৰকার সম্মান ও দয়া প্ৰকাশ করায় দাক্ষিণাত্যের মুসলমানগণও শিবাজীর প্রশংসা কীর্তন করিতে লাগিল। অতঃপর যথাসময়ে বিজাপুরের প্রধানমন্ত্রী এবং যুবরাজ যাইয়া নির্দিষ্ট সময়ে আমিনা বানুকে রােজ্যাভিষিক্ত করিয়া মালেকা' অর্থাৎ রাণী উপাধি প্ৰদান করিলেন। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং মুকুট পরাইয়া দিলেন। যুবরাজ বিজাপুরের হুকুমতের তরফ হইতে একখানি মূল্যবান তরবারি উপহার প্রদান করিলেন। শেখ-উল-ইসলাম জামে মসজিদে যাইয়া আল্লাহ্ তালার মঙ্গল আশীৰ্বাদ মালেকা আমিনার জন্য প্রার্থনা করিলেন। শিবাজীও তাঁহাকে অনেক ভেটীঘাট প্ৰদান করিয়া যথেষ্ট সম্বর্ধনা করিলেন। মালেকা আমিনা বানু রােজ্যাভিষেকের পরে বিজাপুরের সোলতানের হুজুৱী-নজর স্বরূপ পাঁচটি উৎকৃষ্ট হন্তী, এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা এবং ২৫টি বৃহৎ মুক্ত প্রেরণ করলেন। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ শীত ঋতুর অবসান হইয়াছে। মলয় সমীরণের মধুর সঞ্চারণে উদ্ভিদ এবং প্ৰাণীজগতের প্রাণে প্ৰাণে নব-জীবন এবং নব আনন্দের সঞ্চার হইয়াছে। নবীন পত্র-পারবে এবং মঞ্জরী-মীেলী-ভূষণে ভূষিত হইয়া নানা জাতীয় বৃক্ষলতা অপরূপ শোভা বিস্তার করিতেছে। অনন্তু আকাশের অনন্ত নীলিমা উজ্জ্বলতর হইয়া আল্লাহুতালার অনন্ত মহিমা প্ৰকাশ করিতেছে! পাখীর কণ্ঠে ললিত ছন্দে নানাবিধ মধুর ও মনোহর কুজন কুরিত হইয়া দিশদিগন্ত মুখরিত এবং পুলকিত হইয়া উঠিয়াছে। এমন মধুর ও মনোহর বসন্তকালে শিবাজী আমিনা ৰানুকে বিশেষ সম্বর্ধনা পূর্বক রাজধানী রায় পড়ে বিশেষ পরামর্শের জন্য নিমন্ত্ৰণ করিয়া পাঠাইলেন । মালেকা প্ৰথমে নিমন্ত্রণে অস্বীকৃতি জাপন করিলেন, নানা প্ৰকাৱা ওজুহাত দেখাইতে লাগিলেন। অবশেষে বহু সাধ্য-সাধনা এবং অনুনয়-বিনয়ে বাধ্য হইয়া