পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিল্লীৰ ৩ খঙে আধাৰসায়ের অবতার প্রথিও-যশা আকবৱশাং উপবেশন করিয়া স্বকীয় প্রভাব বিস্তাৱ করি৩েছিলেন যখন বীরপুরুষ দাম্মদ খাঁ, সুজলা-সুফলা হিন্দুস্তানের রম।-উদ্যান বঙ্গঙুমির রাজধানী দিল্পীর গৌরব-স্পর্ধিনী গৌড় নগরীতে রাজত্ব করি৩েছিলেন - সেই সময়ে একদিন বৈশাখ মাসের কৃষ্ণা দশমীতে রাত্রি দেড় শহরের সময় শ্ৰীপুর ও খিজিরপুরের মধ্যবর্তী রাস্তার এক মািটতে কতকগুলি রন্থকীসহ একখানি পাখী আসিয়া উপস্থিত হইল । পািখ’খানা বিবিধ কারুকার্যে অতি চমৎকাররূপে সজিত। পান্ধীর উপরে &লবযুক্ত জৰীয় চাদর শোভা পাইতেছে। পান্ধীর সঙ্গে দুইজন মশালচী। ৩াহদেব হস্তস্থিত প্ৰকাণ্ড মশাল কৃষ্ণা দশমীর অন্ধকাররাশি অপসারিত এবং সেই বৃক্ষ-সমাকীর্ণ চটির বহুস্থান আলোকিত করিয়া শী শী করিয়া জুলিতেছিল। বারজন রম্বকী, আটজন বেহার এবং তদ্ব্যতীত তিনজন ভারী ও একজন সাম্ৰান্ত যুবক পাৰ্ত্তীর সঙ্গে ছিল। রক্ষী বারজনের মধ্যে তিনজনের হস্তে বন্দুক, পাঁচজনের হন্তে রামদা এবং চারিজনের হস্তে তেল-চুকচুকে রূপা দিয়া গােট-বাধা বাঁশের পাকা লাঠি। সকলেই পদাতি; কেবল সন্ত্রান্ত যুবকটি একটি বলিষ্ঠ অশ্বের আরোহী। যুবকের গায়ে পিরাহান, পরিধানে ধুতি, মস্তকে একটি জরীর টুপী, কটীতে চাদরের দৃঢ় বেষ্টনী, পায়ে দিল্লীর সুন্দর নাগরা জুতা। যুবকের কাটীতে একখানি কোষাবদ্ধ ক্ষুদ্র তরবারি দুলিতেছিল। যুবকের বয়স অনুন বিংশতি বর্ষ। চেহারা বেশ কমনীয় ও পুষ্ট; গঠন দোহারা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেরূপ মাংসল সেরূপ “ಸ್ತ್ರ್ಯ: বেহাৱারা প্ৰকাণ্ড শাখা-প্ৰশাখাশালী ঘন পত্রযুক্ত বটবৃক্ষের ਆਜਜਜ ঘুরিতে লাগিল। যুবকটি ঘোড়া হইতে নামিয়া একটি রক্ষীর কোমরে আবদ্ধ ক্ষুদ্র বিড়িদান হইতে পান লইয়া চিবাইতে চিবাইতে পায়চাৱী করিতে লাগিল। একজন রক্ষী একটি আমগাছের চারার সহিত ঘোড়াটিকে আটকাইয়া রাখিল। ভারীরা ভার নামাইয়া ঘাম মুছিতে লাগিল। তারপর তামাক সাজিয়া সকলেই নারিকেলী হাঁকা বাহির করিয়া একটু ভাল তামাক যুবককে সাজিয়া দিল। যুবক দীড়াইয়া দাঁড়াইয়াই হকা দেবীর মুখ চুম্বন করিতে এবং মধ্যে মধ্যে কুণ্ডলীকৃত ধূমরাশি হাড়িতে [াগিলেন। মুহুর্ত মধ্যে বট গাছের তলা হুক্কার সুমধুর OY vy ধ্বনিতে ও কুণ্ডলীকৃত ধূমে সজাগ ক্ষুর্ত ও মূর্ত হইয়া উঠিল। বৈশাখ মাসের নির্মেঘ আকাশ, স্থির প্রশান্ত সাগরের ন্যায় পরিদৃষ্ট হইতেছে। অসংখ্য সমুজ্জ্বল নক্ষত্র নীলাকাশে, নীল সরোবরে হীরক-পন্ধের ন্যায় দীপিয়া দীপিয়া জুলিতেছে। কৃষ্ণ দশমীর অন্ধকার, তাহার আলোকে অনেকটা তরল বলিয়া বােধ হইতেছে। বাতাস নিরুদ্ধ। উচ্চশির বৃক্ষের পাতা পর্যন্ত কঁাপিতেছে