পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাতুলের পক্ষেই শোঙা পায়। বরং শিবাজী এ-বিষয়ে যতই চেষ্টা করবেন, আমার মৃণা ও অশ্ৰদ্ধা ততই বৃদ্ধি পাৰে। আমি প্ৰাণান্তেও এমন স্মৃণিত দস্য ও জাহান্নামী কাফেরকে কিছুতেই স্বামীত্ত্বে বরণ করতে স্বীকৃতি নাহি। এমন কি, এবিষয়ের আলোচনা করতেও আমি মৃণা এবং বিরক্তি বােধ করে থাকি। চতুৰ্থ পরিচ্ছেদ উষা তাহাব অরুণিমা জালের চাপা আঙ্গুলোর কোমলম্পর্শে ঘন আঁধার রাশিকে তৱল করিয়া নিদ্রিত বিশ্ববক্ষে নব চেতনার সঞ্চার করিতেছে। প্রভাতবায়ু কুসুমभरु श्रुष कदिशा भूनूभन्म गठिष्ठ वाङ्गा ७ त्रिकला दिख्द्रq कब्रिग्रा थबाश्ठि হইতেছে। মধুরকষ্ঠ বিহঙ্গগণ নানাছন্দে সুললিত তানে বিশ্বপিতার মহিমা কীর্তন করিতেছে। ধীরে ধীরে মৃত্যুবৎ, জগৎ বক্ষে কেমন মনোহর ও মধুরভাবে নবজীবনের আবির্ভাব সূচিত হইতেছে। এ হেন মধুর প্রভাতকালে অতি প্ৰত্যুষেই রায়গড়ের রাজপথের পাৰ্থে লোক সমাগম পরিদৃষ্ট হইতেছে। আমরা যে-সময়ের কথা বলিতেছি, রায়গড় তখন অতি ক্ষুদ্র শহর । এই ক্ষুদ্র শহর আজ বিজাপুরের সেনাপতি মহাবীর আফজাল খার অভ্যর্থনাহেতু পরম রমণীয়ভাবে সজ্জিত হইয়াছে। পথের মধ্যে মধ্যে নানাস্থানে বিচিত্র তোরণসমূহ নির্মিত হইয়াছে! পতাকা, পুষ্প এবং কদলী বৃক্ষে সমস্ত রান্তা গোলজার করা হইয়াছে। মহারাষ্ট্রগণ যথাসম্ভব উৎকৃষ্ট বেশ-ভূষায় সজ্জিত হইয়া সোৎসুকচিত্তে অপেক্ষা করিতেছে! মহারাষ্ট্র রমণীগণ পুষ্পগুচ্ছে কুন্তল সাজাইয়া বিচিত্র ভঙ্গীতে কোচা ও কাছা দিয়া শাটী পরিয়া অট্টহাস্যে এবং কোলাহলে গগন-পবন মুখরিত করিয়া রান্তার এক এক স্থানে জটিলা পাকাইতেছে। বহু সংখ্যক বালক ইতস্ততঃ দুটাছুটি করিতেছে। এদিকে বাদোদ্যম সহ মহারাষ্ট্রদিগের রাজা শিবাজী সহস্ৰ সংখ্যক অশ্বারোহী সৈন্যসহ মুসলমান-পোষাকে উৎকৃষ্টরূপে সজ্জিত হইয়া সপরিষদ আসিয়া নগর তোরণের মূলে শ্রেণীবদ্ধভাবে, দণ্ডায়মান হইলেন। সহসা দূরে একটি তোপ গৰ্জন করিয়া উঠিল। সেই তোপ পার্জনের সঙ্গেই সর্বত্র একটি অক্ষুট কলরব উথিত হইল। শিবাজী অম্বারোহী সৈন্য এবং পরিষদগণকে সঙ্গে লইয়া বেগে অশ্ব দুটাইলেন । নহবতে নহবতে শাহানার সুরে শানাই বাজিয়া উঠিল । রান্তার পার্থের বাৰ্টী হইতে শঙ্খধ্বনি হইতে লাগিল । দেখিতে দেখিতে শিবাজী, বিজাপুরের সেনাপতি বীরবির আফজাল খাকে পরম So