পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাহজী নিভৃত গৃহ হইতে বাহির হইয়া চলিয়া গেলে, শিবাজী এবং রামদাস স্বামী প্রভৃতি মিলিয়া যে-পরামর্শ করিলেন, তাহা যার-পর-নাই ঘূর্ণিত এবং পাপীজনক। আফজাল খাকে সহসা আক্রমণ করিয়া বধ করাই তাহদের একমাত্র উদ্দেশ্য! তাহাকে বধ করিতে পারিলে, বিজাপুরাধিপের দক্ষিণ হস্ত ভগ্ন হইবে বলিয়া শিবাজীৱ দৃঢ় বিশ্বাশ। কারণ আফজাল খাঁর ন্যায়। এরূপ তেজীয়ান এবং মহাবীর সেনাপতি লাভ বহু ভাগ্যের কথা। শিবাজী অনেকবার বলিলেন যে, আফজাল খাঁর ন্যায় বীর পুরুষের সাহায্য পাইলে তিনি দশ বৎসরের মধ্যে সমস্ত দাক্ষিণাত্যে জয়পতাকা উডতীন করিতে পারেন।” এহেন আফজাল খাকে কোনও রূপে নিহত করিতে পারিলে, তাহার উদ্দেশ্য সিদ্ধির পথ যে অনেকটা নিষ্কণ্টক হয়, তদ্বিষয়ে আর কোনও সন্দেহ নাই। সুতরাং আফজাল খাকে গুপ্তভাবে হত্যা করিবার জন্য আয়ােজন চলিতে লাগিল। ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ অন্তঃপুরস্থ একটি অট্টালিকার সজ্জিত কক্ষে তারাবাঈ একটি জানালার ধারে বসিয়া গভীর চিন্তাসাগরে নিমগ্ন। তারাবাঈয়ের সখী মঞ্জরীমালা এবং ধাত্রী সারদা উভয়েই গাঢ় নিদ্রায় নিদ্রিত। কেবল নীরব প্রশস্ত কক্ষে শিবাজীর প্ৰাণাধিক-প্ৰিয় দুহিতা, উদ্ভিন্ন-যৌবনা তারাবাঈ রূপের ছটায় সমস্ত কক্ষ DBBBD D LDB DSBB B DDDLLL SS DDDSEEB হেমন্তের ঈষৎ শীতল সমীরণ ধীর গতিতে প্ৰবাহিত হইয়া যুবতীর কুঞ্চিত অলকরাজি এবং চেলাঞ্চল লইয়া ক্রীড়া করিতেছে। যুবতী যেমনি সুন্দর সুঠাম তেমনি বেশ তেজস্বিনী অথচ কমনীয় মূর্তিবিশিষ্ট। যুবতী শিশিরসিক্ত বালার্কের নব অরুণিমা-রাগ-রাজিত বসরাই গোলাপের ন্যায় মনোহর! অথবা শারদীয় উষার ন্যায় চিত্তহারিণী । সমগ্ৰ মহারাষ্ট্রে তারাবাঈয়ের ন্যায় সুন্দরী যুবতী আর একটি আছে কি-না সন্দেহ। তারাবাঈকে দেখিলে, তাহাকে আদেী মারাঠা-কন্যা বলিয়া বোধ হইত না। মনে হইত, যেন কোনও ইরাণী-সুন্দরী মারাঠী পরিচ্ছেদে দেহ সাজাইয়া অন্তঃপুর আলো করিয়া বিরাজ করিতেছে। যৌবনসমাগমে তারা বাৰ্যর নদীর ন্যায়, বসন্তের গোলাপের ন্যায়, শরতের পদ্মের ন্যায়, উবার তারকার ন্যায়, পরিপুষ্ট, কমনীয়, লোভনীয় এবং শোভনীয়া হইয়াছে! তাহার অন্তরের পর্দায় পর্দায় কি যেন এক নব ভাবাবেশের অনন্ত সৌন্দৰ্য উথলিয়া উঠিয়াছে। পূর্ণিমার চন্দ্রদর্শনে নদনদী সমুদ্রের স্থিৱ জল যেমন স্ফীত হইয়া উঠে, তারাবাঈয়ের স্থিৱ আচঞ্চল হৃদয় ও আজ তেমনি Y\b