পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উঠিল। সে কাহারও সহিত মিশিত না বা কথা কহিত না । মনের অশান্তি ও চাঞ্চল্য হাজার চেষ্টা করিয়াও তারা লুকাইতে পৱিত না। তাহার মনের প্রতি অণুপরমাণু তুষানলে যেন দগ্ধ হইতে লাগিল। হায়! সে দুঃখ এবং সে জ্বালা ব্যক্তি করিবার ভাষা নাই। তারার মাতামহী তাহার মানসিক শান্তি বিধানের জন্য অনেক চেষ্টা ও তদ্বিৱ করিলেন। অনেক হোম এবং যজ্ঞ করিলেন। তারার চিত্তরঞ্জনের জন্য গান-বাদ্যের বন্দোবন্ত করিলেন। কিন্তু জলের পিপাসা কি দুগ্ধে নিবারিত হয়? ক্ষুধাৱ পেট কি কখনও কথায় ভরে তারার কিছুতেই শান্তি হইল না। তারা পুড়িয়া পুড়িয়া ছাই হইতে লাগিল। ক্রমশঃ তাহার সুবৰ্ণ কান্তি বিমলিন হইতে লাগিল। তারার উজ্জ্বল কটাক্ষাপূর্ণ চক্ষু ক্রমশঃ উদাস ও কাতর-দৃষ্টিপূর্ণ হইয়া উঠিল। কেশ বেশ এবং অঙ্গরাগে তাহার আর কিছুই যত্ন রহিল না। কিছুদিন মধ্যে তারাতে কিছু কিছু উন্মাদের লক্ষণও পরিদৃষ্ট হইতে লাগিল। বায়ু শান্তির জন্য নানা প্রকার আয়ুৰ্বেদীয় তৈল এবং ঔষধের ব্যবস্থা হইল। কিন্তু তাহাতে বিশেষ কোনও সুফল পরিদৃষ্ট হইল না। তারার নধর ও পুষ্ট তনু ক্রমশঃ ক্ষীণ ও শ্ৰীহীন হইতে লাগিল। সকলেই বুঝিল, প্ৰেমাস্পদ লাভের দারুণ নৈৱাশ্যেই তারার শরীর-মন ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে। তারার মাতামহী অম্বুজা বাঈ তারাকে চক্ষের তারার ন্যায় দেখিতেন। তারার শোচনীয় বিষণু অবস্থা অবলোকন করিয়া তিনি যার-পর-নাই মর্মপীড়িত হইলেন। , enw'n seff CM বিঠলপুরে বিঠলজীর একটি মন্দির ছিল। এই বিগ্রহের নামানুসারে গ্রামের নাম বিঠলপুর হইয়াছিল। বাসন্তী পূর্ণিমার তিথিতে এই বিঠলদেবের মন্দিরে কোথা হইতে এক তেজঃপুঞ্জতনু তণ্ডকাঞ্চনকান্তি ললনা-কুল-লালাম-ভুতা মহাতেজস্বিনী ভৈরবী আসিয়া উপস্থিত হইলেন। LOBD DD DD DB DBBBDDSKBBBB BDD BDK DD পড়িল। দলে দলে নরনারী কৌতুহলােক্রান্ত চিত্তে এই নবীনা তৈরবীকে দেখিবার জন্য সমবেত হইতে লাগিল। ভৈরবী অনেক পীড়িত ব্যক্তিকে ঔষধ দান করিয়া অল্প কয়েক দিনের মধ্যে আরোগ্য করিলেন। ভৈরবীর রূপে গুণে জ্ঞানে আকৃষ্ট হইয়া দলে দলে লোক চতুর্দিক হইতে উপস্থিত হইতে লাগিল । বিঠলপুর লোকের হলাহলায় সজাগ হইয়া উঠিল। নানাপ্রকার উপহার দ্রব্য, 8v)