পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মজৱ-নেয়াজ এবং মানতের ফল-ফুল, নানা প্ৰকার উপাদেয় তোজ্য জাত, বস্ত্ৰ এবং মুদ্রায় মন্দির পূর্ণ হইয়া উঠিল । সপ্তান লাভ কামনায় নারীদিগের বিপুল জনতা হইতে লাগিল । ভৈরবী এই বিপুল খাদাসামগ্ৰী এবং অৰ্থরাশি প্ৰফুল্ল চিত্তে গরীব-দুঃখী দিগকে দান করিতে লাগিলেন। ভৈরবীৱ ৰূপের ছাঁটা, তেজস্বিনী মূর্তি, বিনয়নম্র ব্যবহার, সরল ধর্মোপদেশ এবং রোগ আয়োগা-শক্তি অবলোকন করিয়া সকলেই বিমুক্ত হইতে লাগিল! চতুর্দিকে ভৈরবীর নামে ধন্য ধন্য রব পড়িয়া গেল। euBB BiBD BD DB BDD DBS BDBD DBDD BDBDB DDD তারাকে লইয়া ভৈৱৰী সম্প্রদর্শনে বিঠলজীর মন্দিরে উপস্থিত হইলেন। ভৈরবীর অনিষাসুক্ষর কমনীয় মূর্তি এবং মধুর বাক্যালাপে অম্বুজা বাঈ এবং তারা উভয়েই মোহিত হইয়া পড়িলেন। তারার অসুখের কথা উঠিলে ভৈরবী বলিলেন যে, তিনি একরান্ত্রি তারাকে নির্জনে নিজের কাছে রাখিয়া একটি মন্ত্র জপ করিয়া গভীর রাত্রে হোম করিবেন। অম্বুজা বাঈ আনন্দের সহিত তাহাকে অনুরাগপূর্ণ সম্মতি প্ৰকাশ করিলেন। অতঃপর নির্দিষ্ট রাত্রে তারাবাঈকে লইয়া ভৈরবী মন্ত্র জপ করিতে লাগিলেন । কিছু রাত্রি পর্যন্ত মন্ত্র জপ করিবার পরে, ভেরবী তারাকে বলিলেন, “তোমার এ মানসিক বিকার প্রেমের জন্যই সংঘটিত হয়েছে। তুমি নিশ্চয়ই কারও প্ৰেমপাশে আবদ্ধ হয়েছে। তিনি কে, আমাকে খুলে বল।” তারাবাঈ ভৈরবীর কথা শুনিয়া লজায় অধোবাদন হইল, তাহার গণ্ড রক্তাক্ত হইয়া আবার মলিন হুইয়া গেল। তারা নীরবে হতাশের দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ कब्रिज । ভৈরবী বলিলেন, “আমি পণনায় দেখছি যে, সেই নাপররাজ মুসলমান কুলোদ্ভব। তুমি মারাঠী-রাজকুমারী হয়ে কিরূপে মুসলমান নাগরের রূপে মুণ্ড হলে, ইহা তো নিতান্তই আশ্চর্যের বিষয়! যা হবার তা তো হয়ে গিয়েছে। এক্ষণে তাকে ভুলে যাবার চেষ্টা করাই সঙ্গত । ভুলবার চেষ্টা করলে, ভুলে যাওয়াটা কঠিন নহে?” তারা কিছুক্ষণ নীরব থাকিয়া বলিলেন, “তা সম্পূর্ণ অসম্ভব।” তৈরবী ঃ বটে! প্ৰেম কি এতই গভীর হয়েছে? এত ফাসিয়া গেলে তো মুশকিল! জাতি-কুল মজাইয়া প্ৰেম করা তো ভাল নয়! তারা ; প্রেম কি জাতি-কুল বুঝিয়া চলে? তটিনী যেমন নিতৃত গিরিকক্ষর হতে নির্গত হয়ে আপনার মনে আপনার ভাবে পথে কাটিয়ে সাগর-সঙ্গমে প্রবাহিত হয়, প্রেমও তেমনি উদ্ধাম গতিতে আপনার মনের পথে দুটে চলে। নদী যেমন পথে চলতে কাকেও জিজ্ঞাসা করে দুটে যায় না, প্রেমও তেমনি