পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১৮৬

ফিরোজাকে ২রণ কৰে নিৰ। এ জন্য আমি একদল জাঠ দাসুরও বন্দোবন্ত করেছি। আপনি বরং আপনার মারাঠী দেহরক্ষী সেনা নিয়ে আমাদিগকে বাধা দিবেন। দুই একটা জাঠকে কৌশলে গ্রেফতারও করে দিব। তাদিগকে পূর্ব হতেই মন্ত্র পড়ায়ে রাখবো। তাদিগকে মুক্তিদানের অঙ্গীকার করলেই তারা ভরতপুরের মহারাজের সমস্ত কারসাজী বলে ব্যক্ত করবে। সদা : বাহৰা ভাস্কর! বাহবা তোমাৱ বুদ্ধি! তুমি যে শুধু সেনাপতি নাও, পণ্ডিতও, তা যথার্থই বটে! এক ঢিলে দুই পাখী শিকার! ভাস্কর : মহারাজ! রথ দেখা এবং কলা বেচা দুটোই হবে। এই ব্যাপারে ভরতপুরের মহারাজের সঙ্গে সফদরজঙ্গের এবং তৎসঙ্গে নাজীব-উদ্দৌলার স্বয়ং বাদশাহের পর্যন্ত বিরোধ লেগে যাবে। ভরতপুরের মহারাজ আমাদের যেরূপ বিরুদ্ধ আচরণ করছে, তাতে এইরূপ উপায়েই তাকে জব্দ করতে হবে। রোহিলার বইে তার বলি হবে। সদা : কেন? আমরাও তো সফদরজঙ্গ এবং নাজীব-উদ্দৌলার সঙ্গে যোগ দিয়েই ভরতপুর লুণ্ঠন করবো। তাতে রোহিলাদিগের সঙ্গে আমাদের আরও সম্ভাব বেড়ে যাবে। ভাস্কর ৪ মহারাজ ! এখন এ অধমের ফন্দিটা পছন্দ হয়েছে তো ? সদা ও তা কি আর বলতে হবে? ধন্য তোমার উদ্ভাবনী শক্তি। যাও, এখন কাজে যাও। কাৰ্যসিদ্ধির পরে আশাতীত খেলাত! দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ দিল্পীৱ হেরোমের নিভৃত কক্ষে বাদশাহ্। শাহু আলম, শেখুল-ইসলাম মওলানা আমিনের রহমান, উজীর সফদরজম, মালবের আফতাব আহ্মদ খান এবং মোসাহেব মালেক আনোয়ার উপস্থিত। বাদশাহু একখানি সোফায় উপবিষ্ট, আর সকলেই দ্বিৱিদ-রদ-নির্মিত পুরু গদিবিশিষ্ট কুসীতে সমাসীন। এইটি অন্তঃপুরের সম্মিলন-কক্ষ । একটি ১০১ ডালের স্বর্ণখচিত ঝাড়ে কৰ্পরমিশ্ৰিত মোমবাতি জ্বলিয়া জ্বলিয়া শুভ্র ও সুগন্ধি আলোক বিকীর্ণ করিতেছে। দেওয়ালে দুডফেননিভ, শ্বেত মর্মরের উপরে সুবৰ্ণেৱ নানাবিধ চিত্র ও নকশা অঙ্কিত। সে কারুকার্য একদিকে যেমন সূক্ষত্র কৌশলের অভিব্যক্তি, অন্যদিকে তেমনই পঠনপারিপাট্যের চরম গৌরবের পরিচায়ক! মধ্যখানে একটি হস্তিদন্ত এবং আবলুস কাষ্ঠনির্মিত মেজ। সে মেজের উপরে সমস্ত পৃথিবীর বিস্তৃত চিত্র সুবৰ্ণে অঙ্কিত। মেজের একপার্থে কতকগুলি সচিত্র গ্রন্থ। দক্ষিণের দেওয়ালে জগদ্বিজয়ী বীরকুলের গৌরবকেতন মহাতেজী তাইমুরের অশ্বারোহী কৃপাণ-পাণি মূর্তি। তাইমুরের চক্ষু হইতে প্ৰভাত-তারকার ন্যায় বিশ্ববিজয়িনী প্ৰভা নির্গত t