পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্মতাৰী এবং তােহর সরস কবিতা পাঠে দিীর সকলেই মুক্ত ছিলেন। চতুলিকে ফিরোজা বেগমের অনুসন্ধান হইতে লাগিল। অনেকেই সিদ্ধান্ত করিল যে, এই লুণ্ঠন ও হরণ ব্যাপারটা মারাষ্ঠীদিগের দ্বারাই সম্পাদিত হইয়াছে। কিন্তু সকলেই বলিলেন যে, আক্রমণকারীরা জািঠ ছিল। সদাশিব রাও যে কয়েকটি দস্যকে বন্দী করিয়াছিল, তাহারা জািঠ ছিল। তাহাদিগকে মুক্তি দিবার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তাহারা প্রকাশ করিল যে, ভরতপুরের রাজাই এই লুণ্ঠনের কারণ । তাঁহার আদেশেই তাহার সৈনিকেরা রাত হানা দিয়া অতর্কিত অবস্থায় ফিরোজা বেগমকে লুঠিয়া লইয়াছে। ইতিপূর্ষে যখন মারাষ্ঠীরা ভরতপুর আক্রমণ করিয়াছিল, তখন ভরতপুরের রাজা ছত্ৰসিংহ রোহিলাদিগের নিকট এবং বাদশাহ্। শাহ আলমের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিয়াছিলেন। কিন্তু রোহিলা বা বাদশাহ কেহই ছত্রসিংহকে কিছুমাত্র সাহায্য করিয়াছিলেন না। সেই রাগেই ছত্রসিংহ রোহিলাদিগকে জব্দ করিবার জন্য ফিরোজা বেগমকে হরণ করিয়া লইয়াছে। সদাশিব রাও বিশেষ সহানুভূতি দেখাইয়া বলিলেন, “ইহা নিশ্চয়ই জাঠদিগের কার্য। মারাঠীরা কখনও রোহিলা সর্দারের পুত্রবধু হরণ করবেন না। মারাঠীদিগের কোনও দলই সেদিন কোথায়ও मृछैन रश्र्शिल श्श नाश् ।" সফদরজঙ্গ, নজীব-উদ্দৌলা এবং বাদশাহ স্বয়ং নানা স্থানে সুদক্ষ সন্ধানীদিগকে প্রেরণ করিলেন। কিন্তু কোথায়ও কোনও সন্ধান পাওয়া গেল না। ভরতপুরেও অনেক গুপ্তচর পাঠান হইল। কিন্তু হায়! কেহই কোনও খবর আনিতে পারিল না। ভরতপুররাজ লোকমুখে এবং জনশ্রুতি-পরম্পরা তাহার সম্বন্ধে ফিরোজা বেগমের হরণের কলঙ্কারোপ শুনিয়া দিল্লীশ্বরকে এক পত্র লিখিলেন। 1 ዌዥ፬ ከ মহামহিমানিত দিল্লীশ্বর! সহস্ৰ সহস্ৰ সালাম এবং কুর্ণিশ পর কৃতাঞ্জলিপুটে বিনীত নিবেদন এই যে, অকারণে আমার প্রতি ফিরোজা বেগমের হরণের কথা বিশ্বাস করিতেছেন । আমার শত্রুরাই এই অলীক কলঙ্ককালিমা আমার মন্তকে নিক্ষেপ করিবার চেষ্টা করিতেছে। এ অধীন দ্বারা এমন পাপকাৰ্য কদাপি অনুষ্ঠিত হইতে পারে না । আমি এই ঘটনার বিন্দুবিসর্গ পর্যন্ত অবগত নাহি । অধুনা লোকমুখে শুনিতে পাইয়া মর্মান্তিক ক্লেশ ভোগ করতেছি । দাসকে আর বৃথা সন্দেহ করবেন না। দাস এখনও দিলীপতিকেই ভারতপতি বলিয়া মনে করে। পত্রের অপরাধ মার্জনা করিতে মার্জি হয় । শাহানশাহের রুপাতিধারী დdfმოდ, ভরতপুর । S