পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দূত ঃ জাহাঁপনা! এ উপহাসের কথা, কিম্বা সত্যকার কথা? বাদশাহ্ ; আমি কখনও মিথ্যা বলি না। দূত ঃ জাহীপনা। আমিও কখনও মিথ্যা বলি না। বাদশাহ ; তবে তারতবর্ষ হতে তেমন বীরাঙ্গনা নিয়ে আসুন। দূত ঃ নিয়ে আসবার আবশ্যক কি? বাদশাহ ঃ না নিয়ে আসলে ছাড়ব না, আনতেই হবে। আহমদ শাহ আবদালীর কাছে বৃথা দাম্ভিকতা দণ্ড না পেয়ে যায় না। দূত ৪ আপনার দাম্ভিকতা চূৰ্ণ না করে ছাড়ব না। প্রকৃত হউন। আমি সেই ভারতরমণী, আমি পুরুষ নাহি। প্রতিজ্ঞা করে এসেছি যে, যদি আপনাকে ভারতঅভিযানে সম্মত করাতে না পারি, তা হলে দ্বন্দুযুদ্ধ করে হয় নিজে নিহত হব, না হয় আপনাকে মৃত্যুমুখে পতিত করব। আমি উজীর সফদরজঙ্গর কন্যা ফিরোজা বেগম।—এই বলিয়া বেগম শাণিত তরবারি কোষ হইতে মুক্ত করিয়া উধের্ম উত্তোলন করিলেন । সহসা সভাস্থলে বজ্ৰাঘাত হইলে অথবা সহসা দরবারগৃহে সূর্যোদয় হইলে লোকে যেমন বিন্বিত এবং স্তজিত হইত, ফিরোজা বেগমের সাহসিকতাপূর্ণ উক্তি এবং তেজঃপুঞ্জ কমনীয় অথচ তেজস্বিনী মূর্তি, চেহারায় দৃঢ়তা ও " এবং তরবারি নিষ্কাশনে সকলেই বিক্ষিত এবং স্তম্ভিত হইয়া 可问1 বাদশাহ্ লজ্জিত এবং সঙ্কুচিতভাবে বলিলেন, “মা! তুমি ধন্য! তোমার জনে ভারতবর্ষ পবিত্র এবং তোমার পুণ্যপদরজে আফগানভূমি ধন্য হইল! যে দেশে এমন আদর্শ বীরাঙ্গনা জন্ম গ্ৰহণ করে, সেদেশের ললাটে দুর্ভাগ্য ও অধঃপতনের জলদজাল বেশীদিন তিষ্ঠিতে পারে না । মা! আমি তোমার সম্মানের জন্যই ভারতে অচিরেই অভিযান করব।” বাদশাহ্ এই বলিয়াই উজীর ও সেনাপতির দিকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, “আপনারা অচিরেই তারত-অভিযানের জন্য বিপুল আয়োজন করুন।" অতঃপর বীৱকুলকেশরী শাহানশাহ্ আহ্মদ শাহু প্ৰধান খাজে-সারাকে ডাকিয়া ফিরোজা বেগমকে বিশেষ জাকজমকের সহিত অন্তঃপুরে অভ্যর্থনা করিবার জন্য আদেশ জ্ঞাপন করিলেন। চতুর্দশ পরিচ্ছেদ ভুবনের অমরাবতী প্রাসাদমালিনী লয়েী নগরী। অসংখ্য আলোকমালায় শারদীয় নক্ষত্ৰখাচিত নৈশাকাশের ন্যায় রাজধানী একান্ত রমণীয় শোভা ধারণ করিয়াহে । উচ্চ উচ্চ বিরাট ৰপু সৌধ ও প্রাসাদাভ্যন্তরে হইতে নানা প্রকার সুমধুর লাল (v)