পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/২৭০

»t n > *Neu fol4 «sst“ . sdel নগরী সম্পূর্ণ সেনাপতি তাহের বেগ কর্তৃক অধিকৃত হইল। মালবের সুলতানের অনুরোধে রাজপুরী লুষ্ঠিত হইল না। রাণী সাংঘাতিক রূপে আহ৩ এবং শক্রহন্তে বন্দী হইলেন। রাণার সমস্ত দম্ভ এবং গর্ব ২ণ হইয়া গেল । আহ্মদ শাহ সমস্ত চিতোর রাজা দখল এবং রাণার প্রাণদণ্ড করিবার আদেশ প্ৰদান করিলেন, রাজপুরীতে আর্তনাদ উথিত হইল। রানী লক্ষ্মীবাঈ শিবিকাআরোহণে সুলতান-সমীপে করিয়া রুক্মিণীবাঈকে সুলতানের চরণে নিক্ষেপ করিয়া দয়াপ্রার্থী হইলেন। १बशा-भूक्त्री ब्रभभौग्न काखि कशनैोग्न cनश् जाछदशका झल्लिीलान्ने-4न्न নেত্ৰকুবলয়ে অশ্রু ঝরিতে দেখিয়া মহানুভব সুলতান মমতা এবং করুণায় অভিভূত হইয়া পড়িলেন। রাণার প্রাণদণ্ড মেকুফ এবং অর্ধরাজ্য মহারানীকে প্ৰদান করিলেন। মহারানী লক্ষ্মীবাঈ গুজরাট-পতিকে নিমন্ত্রণ করিয়া এক সপ্তাহ কাল পরম সমাদরে ভোজ দান করিলেন। গুজরাটেশ্বরীর জন্য এক ছড়া বহুমূল্য মুক্তার মালা এবং এক জোড়া হীরক-কঙ্কণ উপহার প্রদান করিলেন। অতঃপর রানী রাখী দান করিয়া আহমদ শাহকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করিলেন। সুলতান আহ্মদ শাহের মহানুভবতা দর্শনে সকলেই ধন্য ধন্য করিতে লাগিল। এরূপভাবে শত্রুরাজ্য জয় করিয়া অর্ধাংশ দান করা সাধারণ উদারতার দৃষ্টান্ত নহে। গুজরাট সরকারের পক্ষ হইতে চিতোরে একটি রমণীয় জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠা করা হইল। লক্ষ টাকা আয়ের একটি পরগণা আহ্মদ রেজা খাঁকে প্রদত্ত হইল। চিতোরের সর্বত্র অবাধে গো-কোরবানীর আদেশ প্রচারিত হইল। সপ্তম পৰিজেদ ফাল্গুনী পূর্ণিমা। পূৰ্ণচন্দ্রের অমল ধৰল জ্যোৎস্নাজালে ধরাতল, খ-মণ্ডল ও এবং রমণীদিগের চেলাঞ্চল আন্দােলিত করিয়া প্রবাহিত হইতেছে। গুজরাটের উপকূলবর্তী নির্মলনীলিম সাগর-সলিলে চন্দ্ৰকিরণ প্ৰতিফলিত হইয়া অপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা করিয়াছে। মনে হয়, কে যেন দিগন্তবিত্বত সমুদ্রবক্ষে তরল কাঞ্চনধারা ঢালিয়া দিতেছে। নীল আকাশের ভালে নির্মল চন্দ্রের শোভা আর সাগর-সলিলে তার কনক-আভা দিগাকালে তার বিমল-ৰিতা মৃদু পবনে নীরধির Sbr