পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুতরাং আমি তোমাকে ভালোবাসি বলে সুন্দর দেখি । ਜਿਨ | নূরউদ্দীন ; তবে তুমি আদতে সুন্দরী নও! রুক্মিণী : তা আপনি নিজেই বলতে পারেন। আমি সুন্দরী কি অসুন্দরী, আমি নিজে তা কেমন করে বলব। নূরউদ্দীন ঃ আমাকে যে পরম সুন্দর বলে বোধ করা, তাও তবে নিশ্চয়ই ভালোবাসার জন্য? রুক্মিণী এবার লজ্জায় অবনতমুখী হইল। তাহার মনোহর গণ্ডদ্বয় বসরাই আনারের মত রক্তবর্ণ ধারণ করিল। নূরউদ্দীন তদর্শনে বলিলেন : কি ব্যাপার! এবার যে চুপ করে রইলো? তবে বুঝি আমাকে ভালোবাস না? কুমারী রুক্মিণী তথাপি কোন কথা না বলিয়া মুখের উপর অঞ্চল ঈষৎ টানিয়া মুখ আবৃত করিতে চেষ্টা করিল। কিন্তু অন্তরের হাসি মুখে ফুটিয়া পড়িল, মুখখানি সহসা উজ্জ্বল হইয়া উঠিল। সেই ঔজ্জ্বল্যেই কুমারের হৃদয়ে প্রণয়ের সৌদামিনী সহসা প্ৰদীপ্ত হইয়া উঠিল। কুমার দুই বাহুপাশে দৃঢ় আলিঙ্গন করিয়া কুমারীর অধীরে অধর স্থাপন করিলেন। উভয়ের হৃদয়ের স্তরে স্তরে মধুৱে মধুৱে সুধা-স্রোত প্রবাহিত হইয়া গেল। উভয়ের হৃদয় এক হইল। কুমারীও প্রতিদান দিয়া কুমারকে প্রেমরসে অভিষিক্ত করিয়া দিলেন। অতঃপর এই প্রেম যাহাতে চিরস্থায়ী হয়, সে জন্য প্রত্যেকেই প্রতিজ্ঞা করিলেন যে, পরস্পর পরস্পরকে ছাড়া আর কাহাকেও পাণিদান করিবেন না। অষ্টম পরিচ্ছেদ রানী লক্ষ্মীবাঈ এবং রাণা উদয়সিংহ নিভৃত কক্ষে বসিয়া কথোপকথনে ব্ৰত। একটি মখমলমণ্ডিত সোফায় উভয়ে পাশাপাশি উপবেশন করিয়াছেন। রানী বলিলেন : বড় বিষম প্রমাদ। একই সময়ে জয়পুর এবং মালওয়া হতে রুক্মিণীর জন্য দূত এসেছে। এক্ষণ কি উপায় অবলম্বন করা যায়? আমি তো নূরউদ্দীনকেই কন্যা দিব বলে বেগম আৰ্দ্ধমন্দ বানুকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। নূরউদ্দীনকে আমার নিজের পুত্র-তুল্য বরাবর স্নেহ করে আসছি। এক্ষণে জয়পুরের রাজকুমার অরুণসিংহকে কিরূপে কন্যা দান করা যেতে পারেr বীণা জািনন রাজকুমার অরুণািসংহের সাথে বাঁৰী-এর বিবাহ দিবার জন্য প্রস্তাব করে কৃতকার্য হই নাই। জয়পুরেশ্বর রুক্মিণীবাঈ-এর সাথেই পুত্রের S\O