পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বায়ু-প্রবাহের পরে সন্ধ্যার ঈষৎ শীতল বায়ু প্ৰবাহিত হইতেছে। রোকনউদ্দীন এই প্রকার মধুর সন্ধ্যায়। সারাদিনের রাজকার্যের গুরু সুলতান পরে দেহ-মনের শ্ৰান্তিদূর-মানসে আরামবাগ নামক প্রাসাদ-সংলগ্ন রমণীর উদ্যানে বায়ু সেবনে বেগম-সহ নির্গত হইয়াছেন। উদ্যানে নানা জাতীয় ফুল ফুটিয়া পবন-প্রবাহে গন্ধ ঢালিতেছিল। সরোবরের নির্মল টলটল জলে মৎস্যগুলি দলে দলে উল্লঙ্কনপূর্বক বিচরণ করিতেছিল। সুলতান ও বেগম দু’জনে সরোবরের বাঁধা ঘাটে বসিয়া শীতল বায়ু সেবন এবং বলিলেন : বেগম! নূরউদ্দীনের বিবাহের আয়োজন সমস্তই পাণ্ড হতে চলল। বিবাহের জন্য আর কি উপায় অবলম্বন করা যায়? বেগম ঃ কি যে করা যাবে, এই-ই তো সমস্যা! কমবখত কাফের কথা দিয়ে ("T 전에 FII | সুলতান ৪ ছেলেটি রুক্মিণীর রূপের নেশায় একেবারে মেতে গিয়েছে। বেগম ঃ মাতবার তো কথাই। এত মেশামেলি এবং ভালোবাসাবাসি, তার উপর রানী লক্ষ্মীবাঈ-এর আপনা হতে কন্যাদানের কামনা। এতে যুবক ছেলের পক্ষে আর বিশেষ দোষ কি? তখন এতটা ঘনিষ্ঠতা না করলেই দোষ ঘটত না। সুলতান ঃ সে কথা তো ঠিক। কিন্তু মানুষ তো অন্তৰ্যামী নয়। রাণা যে এরূপ বেঈমানী করবে তা তো স্বপ্নেও ভাবিনি। কাফেরকে কখনও বিশ্বাস করতে নাই। কথায় বলে—“উঝড়ী নয় গোশত আর হিন্দু নয় দোন্ত।” বেগম ৪ মেয়েটি কিন্তু ঠিক। সুলতান ; সে নাকি আর জয়পুরে যায় নাই। এখন নাকি ব্ৰহ্মচারিণীর বেশে जदला एल-छल निन कोश। केि विषम दांथाद्ध। বেগম ঃ নুরুউদীন এবং রুক্মিণী উভয়ের সংকল্প এবং প্রতিজ্ঞা একই রূপের । সুলতান ; কারাগারে দিয়ে তো অনেক পীড়ন করা হল; এবার তাকে বুঝিয়ে পড়িয়ে অনুরোধ-উপরোধ করে মিষ্ট কথায় তুষ্ট করবার চেষ্টা দেখ। বেগম ঃ তা কি আর কম করছি! কিন্তু তার দুর্জয় সংকল্প যে কিছুতেই টলে | ! সুলতান ; যে-রূপেই হােক টলাতে হবে। নতুবা রাজ্য-সিংহাসন সমস্তই বৃথা। আর বিবাহ না করলে বংশই বা থাকবে কিরূপে বেগম ; আমার জীবনে আর কোনও আরাম নেই। নূরউদ্দীনের ভাবনাই আমাকে কবরে নিয়ে যাবে। সুলতান ; তুমি পূর্বে তাবলে এখন আর ভাবতে হতো না। Sዓ