পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/২৮৭

শরীরটি বন্ধ দ্বারা ভালোরূপে বাধিয়া হতাশ হৃদয়ে স্রোতে ভাসিয়া ਜੀਜ মৃত্যু-বিভীষিকাপূৰ্ণ নদী-ত্রোতের ভীষণ গৰ্জনে, তরঙ্গের ভীম তাড়নে, স্রোতের প্ৰবল ঘূর্ণনে ও ঝটিকার তর্জনে যে কিরূপ চমকিত, বিন্বিত এবং কম্পিত པའི་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་ দারুণ শীতে এবং আতঙ্কে রুক্মিণী ক্রমশঃ সংজ্ঞাশ্বন্যবৎ হইয়া পড়িল। নদীর প্ৰবল স্রোত এক রাত্রির ভিতরেই তাহাকে প্রায় ৩০ মাইল দূরে লইয়া গেল। খুব একটি নিমজমান বৃহৎ বৃক্ষর শাখায় অবলম্বলে কাউঞ্চ নাটকাইয়া একজন সন্ন্যাসী প্ৰাতঃস্নান করিতে আসিয়া সেই কাষ্ঠখন্ডের উপরে বালারুণ কিরণরঞ্জিত এক অপরূপ সুন্দরীর দেহ দর্শন করিয়া চমকিত হইয়া উঠিলেন। সন্ন্যাসী সীতার কাটিয়া কাষ্ঠখণ্ড তটে তুলিয়া আনিয়া দেখিলেন, সুন্ধৱী মৃতৰৎ অচেতন। তাড়াতাড়ি কাষ্ঠাদি সংগ্ৰহ করিয়া রুক্মিণীকে সেক দিতে থাকেন। অর্ধ ঘণ্টা সেক দিবার পরেই রুক্মিণী চৈতন্য লাভ করে। সন্ন্যাসী অতঃপর তাহাকে বহু কষ্ট নিজের আশ্রয়ে লইয়া যাইয়া দুখ এবং ফলাদি সেবন ও আহাৱ করাইয়া বিছানায় শায়িত করিয়া রাখেন। সমস্ত দিবারজনী নিদ্ৰাৱ পর, রুক্মিণী অনেকটা সুস্থ এবং প্রফুল্প হইয়া ওঠে। সন্ন্যাসী রুক্মিণীকে সুস্থ হইতে দেখিয়া পরমানন্দ লাভ করেন। রুক্মিণীর সর্বপ্ৰকার সুখ-সুবিধার জন্য সন্ন্যাসী বিশেষভাবে চেষ্টা করিতে লাগিলেন। দ্রু থেং এবং যত্ন কৰিণী বেগ প্রশান্তভাবে গৃহ গেছ দিন কাটাহঁতে সন্ন্যাসীর আশ্রমটি একটি সুন্দর হ্রদের তীরে অবস্থিত ছিল। বিশাল বিজন অরণ্য। সেই অরণ্যের মধ্যে স্বচ্ছােসলিলপূর্ণ সরোবর; সেই সৱোেৰৱতটে ৰহুদিনের একটি কালী-মন্দির। মন্দিরটি পুরাতন হইলেও তখন প্রায় অক্ষত এৰং মজবুত ছিল। এ বিজন-বনে কে কৰে কি উদ্দেশ্যে এই মন্দির নির্মাণ করিয়াছিল, তাহা কেহই ঠিক জানিত না। অনেকে বলিত যে, রঘুনন্দন বলিয়া একজন ডাকাভেৱ সর্দারই মন্দির স্থাপন করিয়াছিল। সে নাকি তাহার লোক-লঙ্কার লইয়া এই ৰনেই ৰাস করিত। তাহার তয়ে তখন এ অঞ্চল দিয়া মানুষ দূরে থাকুক, পক্ষীও আকাশ-পথে উত্তীন হইত না। স্থানটি যেমন নির্জন, তেমনি রমণীয়। নানা জাতীয় বৃক্ষ-লতার শ্যামল শোভায় এবং ফুল ফুলকুলের বিমল আতুয় আশ্রমটি DDDBDBB BBDBDl TBS BDLD DBD DBD DB DDB LMDBML বোধ হয়। মানা জাতীয় থেত, রক্ত, নীল কমল, কুমুদ, কাজার, ফুটিয়া এদের хоф