পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/৩০

আমার প্রতি আকৃষ্ট বলিয়া বোধ হয় না।" আবার তাৰে, “না না, তিনি তো uuYHS DBD DDLLD DLGLLYSS BD DDL D ভালোবাসিয়াছেন, সে যদি এখন তাহার আত্মবিক্রয় করে, তবে কি তিনি আনন্দিত হইবেন না? নিশ্চয়ই আনন্দিত হইবেন ।” “ভালোবাসা প্ৰেমে ঘনীভূত হইতে কতক্ষণ?” আবার নিরাশা তাহার কর্ণকুহরে। গোপনীয়ভাবে বলে, “কি বিশ্বাস! পুরুষের মনঃ” আবার স্বর্ণকুমারী চঞ্চল-চিত্ত হইয়া উঠে। এইরূপ আশা এবং নিরাশায় স্বর্ণময়ীর জীবন কেমন যেন আনন্দবিহীন ভারাক্রান্ত হইয়া উঠিল। সে কি করিবে কিছুই ভাবিয়া ঠিক করিতে *ाgिठछिञ्ज ना । জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু পক্ষ চতুর্দশী। সন্ধ্যা বহিয়া গিয়াছে। আকাশে কৃষ্ণ জলদখও শ্রেণী বাধিয়া হিমালয় পানে দুটিয়াছে। চতুর্দশীর চন্দ্ৰ এক একবার মেঘের ফাঁক দিয়া নববধূর ন্যায় প্ৰেম-দৃষ্টিতে সুধাবর্ষণ করিয়া আবার দেখিতে দেখিতে তখনি মেঘের আড়ালে লুকাইতেছে। জগৎ এক একবার জ্যোৎস্নাপ্লাবিত হইয়া হাসিয়া উঠিতেছে, আবার তরল আঁধারে স্নান হইয়া যাইতেছে। বাতাস এক একবার থাকিয়া থাকিয়া উচু গাছের উপর দিয়া পাতাগুলিকে করতালির মত বাজাইয়া বহিয়া যাইতেছে। কখনও কখনও বাগানের নানাজাতীয় ফল ফুলের গাছের মধ্যে এলোমেলোভাবে বহিয়া যেন লুকোচুরি খেলিতেছে। স্নান-কৌমুদী-মাখা পুকুরের জলে ছােট ছোট ঢেউ উঠিয়া শ্রুতি-মধুর তক তক শব্দে পাড়ে যাইয়া লাগিতেছে। স্বর্ণময়ী এই বাম্বানের মধ্যস্থ পুষ্করিণীর পরিষ্কার বাধা ঘাটে বসিয়া জ্যোৎস্নালোকে বকুলের সুদীর্ঘ মালা গাঁথিতেছে এবং গুন গুন করিয়া আপন মনে গান গাহিতেছে। মালা গাঁথিতে গাঁথিতে এক একবার কি যেন মনে ভাবিয়া পুকুরের মৃদু লহরী-লীলার দিকে মুখ তুলিয়া চাহিতেছে এবং বুকভাঙ্গা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলেতিছে! স্বর্ণময়ীর কণ্ঠ যদিও গুন গুন করিতেছিল এবং চম্পক অঙ্গুলী যদিও বকুলফুলে সূতা পরাইতেছিল, তত্ৰাচ তাহার মনে যেন কোন এক দেশের শোভন আকাশে পথভ্রান্ত বিহঙ্গের ন্যায় উড়িয়া বেড়াইতেছিল। আজকার চন্দ্রও যেন মেঘ-পটলে লুক্কায়িত, স্বর্ণময়ীর মুখমণ্ডলেরও তেমনি দীপ্তি লাবণ্য অন্তহিত। তাহার বদনমণ্ডল যেন কেমন এক প্রকার বিষাদ গভীর বলিয়া বোধ হইতেছে। এই গান্ধীর্যের মধ্যেও তাহাকে অতুলনীয় সৌন্দৰ্যশালিনী বলিয়া বোধ হইতেছে। বাতাসে তাহার ললাট-প্ৰান্তস্থ কেশ-কলাপ ঈষৎ দুলিয়া দুলিয়া গোলাপীগণ্ড চুম্বন করিতেছিল। মাপতীসুন্দরী, স্বর্ণময়ীর মামাতো ভগ্নী। যৌবনের সীমায় পদার্পণ করিয়াছে। সুতরাং তাহার দেহ-লতিকা যেমন পুস্পিতা, মানও তেমনি সুরভিপূর্ণ হইয়া উঠিয়াছে। স্বর্ণময়ীকে সে আপনার হৃদয়ময় করিয়া তুলিয়াছে। স্বৰ্ণকে সে হৃদয়ের অন্তস্তম স্তর হইতে ভালোবাসে। স্বৰ্ণকে ভালোবাসিয়া সে নিজের জীবনকে মধুময় করিয়া তুলিয়াছে। মালতী সন্ধ্যা Qy