পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিলেন। বেগম নিজের অজেয় যাবতীয় মণিমুক্তাখচিত অজাতিরণ উন্মোচন করিয়া আগ্ৰহভাৱে উপহারস্বরূপ দান কৱতঃ ৰহন্তে রুক্মিণীর অঙ্গে পয়াইয়া দিতে চাহিলেন । রাজীৱ মহানুতকতার জন্য রুক্মিণী পুনঃ পুনঃ ধন্যবাদ দিয়া উপহার প্রত্যাহার করলেন। কিন্তু বেগম নাছোড়বান্দা! রুক্মিণীকে গহনা না পরাইয়া ছাড়িবেন না। অনেক পীড়াপীড়ির পরে রুক্মিণী বলিলেনঃ “মা। আমরা বনবাসী ফকির। গহনা নিয়ে কি করব! আমাদের নিকট ঐ সমস্ত হীরা-মণিমুক্তার কোনও আদর নেই। উহা আমরা অবজ্ঞার চোখে দেখে থাকি। লোকালয়ে উহার আবশ্যকতা থাকতে পারে, কিন্তু এই কাননাশ্ৰমে উহার কোনও কদর নেই!” রাজী ; অন্ততঃ আমার চক্ষু বিনোদন এবং প্রাণের শান্তির জন্য তোমাকে পরতেই হবে। আমরা চলে যাবার পরে না হয়, ফেলে রেখো। রুক্মিণী : আমি পরতে রাজি আছি, কিন্তু যাবার সময় নিয়ে যেতে হবে। DDDD S D DDS BBD DBDDB BBDS D BBB BDBD BDB K DDBD কেড়ে-গাত্র হতে উন্মোচন করে নিয়ে যাব! তা কখনই হবে না। রুক্মিণী : তবে আমি পরতে পারব না। অগত্যা রানী রুক্মিণীর শর্তেই স্বীকৃত হইয়া সমস্ত অঙ্গাভরণ রুক্মিণীকে পরাইয়া দিলেন। রুক্মিণী সেই সমস্ত ঘর-আলো-করা গহনা পরিয়া রমণীয় মূর্তি ধারণ করিলেন। রাজী হাস্য-বিস্মৃৱিত অধরে বলিলেনঃ “মা! এইবার তোমাকে মহীয়সী রাজরানীর ন্যায় দেখাচ্ছে! আমার সাধ যে, তোমার ঐ ভুবনমোহিনী মূর্তি নয়ন ভরে দেখি।” অল্প সময়ের মধ্যেই রানী এবং রুক্মিণীর মধ্যে গভীর সদৃভাব ও আত্মীয়তার সূচনা হইল। রাজী তাঁহাকে ধৰ্মকন্যা বলিয়া ধরিয়া লইলেন। সুলতান আরও তিনদিন আশ্রমে অবস্থান করিলেন। নূরউদ্দীনের বীরত্বে এবং সৌজন্যে সুলতান একান্ত মুক্ত হইয়াছিলেন। ফলতঃ, নবীন তাপস-দম্পতির রাজ সন্তাননিন্দিত অপরূপ সৌন্দৰ্য, বিনয়-নিম্ন ব্যবহার, মধুর সরল ভাষা এবং উদার ভাবে সকলেই সুখী ও সন্তুষ্ট হইয়াছিল। তাঁহাদের কথাবার্তা, চাল-চলন, এমনকি চোখের দৃষ্টিতেও এক মহান সম্রামের তাৰ প্ৰকাশ পাইত। সাধারণ বংশীয় ব্যক্তিদিগের সে মহত্ব এবং সম্রামের ভাব একান্ত দুর্লভ । সুলতান এবং সুলতানা উভয়েই নূরউদ্দীন এবং রুক্মিণীর প্রকৃত পরিচয় পাইবার জন্য আগ্ৰহ প্ৰকাশ করিলেন। নূরউদ্দীন হাত যোড় করিয়া বলিলেন : “জাহীপনা। অপরাধ মার্জনা হােক । ফকির কখনও নিজের পরিচয় দিতে পারে না। আর ফকিরের পরিচয় লাভেও। কোনও লাভ নেই।” সুতরাং তাপস-দম্পত্তির পরিচয় সুলতান ও সুলতানার কাছে उधारको ब्रदिछ । ○や