পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/৯০

সর্বত্র উৎপীড়িত এবং কিয়দংশ নিহত হইয়া ক্ৰোধে প্ৰদীপ্ত उद्वि नाग्र ਅ রমণীরাও তরবারি হন্তে আত্মরক্ষায় প্রবৃত্ত হন। মুসলমানদিগের উদ্দীপ্ত তেজে হিন্দুরা ক্ষণকালের জন্য স্তম্ভিত হইয়া পড়ে। এই সময়ে দুর্গ হইতে দলে দলে সৈন্য আসিয়া মুসলমানদিগকে হত্যু করিতে শুরু করে। সমস্ত নগরবাসী হিন্দু ও হিন্দুসৈন্যের দ্বারা ভীষণভাবে আক্রান্ত হইয়া মুষ্টিমেয় মুসলমান নরনারী সমূলে ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। কতিপয় অনিন্দ্যসুন্দরী মুসলমান যুবতীকে বন্দী কািরয়া কৃতঘ্ন রাম রায় তাহদের সতীত্ব নাশে উদ্যত হন। যুবতীরা আত্মহত্যা করিয়া নৱ্যধ্যম পিশাচের হস্ত হইতে ধৰ্মরক্ষা করেন। অতঃপর মসজিদসমূহ চূর্ণ করিয়া তাহার স্তুপের উপর ত্রিশূল-অঙ্কিত পতাকা উড়াইয়া দিতেও কুষ্ঠিত হন না। এখানে বলা আবশ্যক যে, স্বীয় রাজধানীর মুসলমানদিগকে প্রথমেই আক্রমণ ও ধ্বংস করিবার বাসনা তাহার ছিল না। প্রথমতঃ সোলতানগণকে একে একে পরান্ত করিয়া দাক্ষিণাত্য হইতে ঐসলামিক শক্তি সম্পূর্ণ ধ্বংস করিতে ও পরে যাবতীয় মুসলমান হত্যা করাই তাঁহার অভীষ্ট ছিল। কিন্তু উন্মত্ত নাগরিক ও উন্মুঙ্খল সৈন্যদিগের উদাম উত্তেজনায় প্রথমতঃ তাহার রাজধানীই মুসলমান-রক্তে রাজিত छ्ट्रेल ! এই সংবাদ অত্যন্ত্রকাল মধ্যেই মুসলমান রাজ্য চতুষ্টয়ে দাবানল শিখার ন্যায় প্রবেশ করিল। মুসলমানগণ প্রথমে এই নিষ্ঠুর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিশ্বাস করিতে পারিলেন না। পরে সত্যতা অবগত হইয়া বিক্ষিত, স্তজিত ও শোকাকুল হইলেন। অবশেষে রুদ্র মন্ত্রে জেহাদের অগ্নি-সঞ্চারিণী বাণী ঘোষিত হইল। সোলতান চতুষ্টয় মুহূর্ত মধ্যে গৃহ-বিবাহ ভুলিয়া ইসলামের সম্মান ও আপনাদের মঙ্গলার্থে ভ্রাতৃভাবে একত্র সম্মিলিত হইয়া রাম রায়কে সমুচিত শিক্ষা প্ৰদান এবং বিজয়নগরে ইসলামের বিজয় পতাকা প্রোথিত-করণ মানসে পরস্পর পরস্পরের নিকট দূত প্রেরণ করিলেন। মোল্লা মৌলবিগণ সর্বত্র অগ্নিময়ী বক্তৃতায় প্রত্যেক সক্ষম ও সুস্থ মুসলমানকে তরবারি ধারণ করিবার জন্য উদ্বুদ্ধ করিলেন । দাক্ষিণাত্যের সর্বত্রই মুসলমানদের মধ্যে জেহাদের ভীষণ আন্দোলন আরম্ভ হইল। রাম রায় তাহার পরিণাম ভাবিয়া কম্পিত হইলেও অনন্যগতি হইয়া রাজকোষ নিঃশেষিত করতঃ বিপুল সৈন্য সংগ্ৰহ করিতে লাগিলেন। দাক্ষিণাত্যবাসী মুসলমানগণ আর্যাবর্তবাসী বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনকে পত্রযোগে পবিত্র জেহাদের জন্য নিমন্ত্ৰণ করিলেন । এই সময়ে বিজাপুরের শাহী দরবারের আলীম দাদ খাঁ নামক একজন আমীর বাস করিতেন। ইহার জন্মস্থান প্রাচীন নসিরাবাদ” জেলার ইউসফশাহী পরগণার শের মন্ত নামক পরীতে। ইহার পিতা একজন বিখ্যাত বীরপুরুষ ছিলেন। ঈসা খার Tigfa wayafter br》