পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু পরীক্ষণেই তাহার মুখের গভীৰ্য বালকের ধারণা নষ্ট করিয়া দিতেছে। এসংসারে গাড়ীৰ্যোয় প্রভাবেই অমেক হালকা জিনিস গুরু এবং গুরু জিনিসও भडरश्न जडात्र३ शन्म श्शा भी। শ্ৰীপুরের ঘাটে দুর্গোৎসবের ষষ্ঠীর দিনে প্ৰাতঃকালে যখন এই প্রকার রমণীদিগের স্নানের হাট বসিয়াছে, সেই সময়ে একখানি সবুজবর্ণ অতি সুন্দর প্ৰকাণ্ড বজরা, একখানি পিনীস ও একখানি বৃহদাকারের ডিঙ্গি সহ আসিয়া ঘাটে ! R کs“ বজরায় খুব বড় একটি ডস্কা ছিল। বজরা কুলে লাগিব।ামাত্রই একজন লোক সেই ডাঙ্গন্তু পিটিতে লাগিল। ডঙ্কার আওয়াজে সমন্ত গ্রামখানি যেন প্ৰতিধ্বনিত হইয়া উঠিল। অনেক বাড়িতেই তখন পূজার ঢাক বাজিতেছিল। ডঙ্কার । আওয়াজে ঢাকের শব্দ তলাইয়া গেল। ডঙ্কার তুমুল ধ্বনি শুনিয়া ছেলের দল এবং অনেক কৌতুহলী ব্যক্তি বজরার দিকে ছুটিল। বজরার মধ্যে একটি প্রশস্ত কক্ষে একখানি ব্যাঘ্রচর্মাসনে এক তেজঃপুঞ্জ মূর্তি দিব্যাকান্তি দরবেশ বসিয়া তসবী জপিতেছিলেন। তাঁহার মুখমণ্ডল জ্যোতির্ময়, গাষ্ঠীর অথচ ঈষৎ হাস্যময় এবং প্রশান্ত । তাহার চেহারার লাবণ্য, দীপ্তি এবং প্ৰশান্ততা দেখিলেই তিনি যে একজন প্রতিভাশালী ধর্মপ্ৰাণ তেজৰীপুরুষ, তাহা সকলেই বুঝিতে পারে। তাঁহার গাত্রে অতিশুভ্র একটি সাধারণ পিৱহান, তাহার উপরে একটি সাদরিয়া এবং মাথায় শ্বেতবর্ণ পাগড়ী। পরিধানে পাজামা। এই সামান্য বক্সেই তাহাকে বেশ মানাইয়াছে। তাপসের বয়স পঞ্চাশের উপর নহে। তাহার সর্বাঙ্গের গঠন সুন্দর, দােহারা। মুখে অর্ধহস্ত পরিমিত দীর্ঘ মসৃণ কৃষ্ণশশু শোভা পাইতেছে। গ্ৰীবাদেশের চতুস্পার্শ্বে বাবরীগুলি বুলিয়া পড়িয়াছে। দুই পার্থের জোলফ প্রভাত বায়ুতে ঈষৎ আন্দোলিত হইতেছে। যেন দুইটি কালো সৰ্প দুইপাৰ্থে বুলিয়া পড়িয়া দোল খাইতেছে। যে আসিতেছে, সেই তাহার সম্মুখে আসিয়া মন্তক নত করিতেছে। তাহাকে দেখিয়া কেহু অগ্রসর হইতেও পারিতেছে না, পিছাইতেও পারিতেছে না। চঞ্চলমতি কলহপ্ৰিয় ছেলেমেয়েরা যাহারা মুহূর্ত পূর্বে ভীষণ কোলাহলে প্ৰভাত-আকাশ মুখরিত করিয়া তুলিয়াছিল, তাহারাও দরবেশের সম্মুখে চিত্ৰপুত্তলিকার মত দাড়াইয়া আছে। কাহারও মুখে একটু সাড়া শব্দ নাই। তাহার মুখের দিকে মুখ তুলিয়া কেহে তাকাইতেও পারিতেছে না। জনৈক ব্ৰাহ্মণ তাহার পরিচয় জানিবার জন্য বজরা সংলগ্ন ডিজীতে যাইয়া একজন লোককে জিজ্ঞাসা করিল। তাহার মুখে ব্ৰাহ্মণ জানিতে পারিল যে, দরবেশের নাম শাহু সোলতান সুকী মহীউদ্দীন কাশীরী। তিনি কাশীরের কোনও রাজপুত্র । রাজসিংহাসন ত্যাগ করিয়া দীর্ঘকাল শত্র্যালোচনা ও তপসা দ্বারা সিদ্ধিলাভ করতঃ ধৰ্ম-প্ৰচাৱ উপলক্ষে কিয়দিন হুইল নিয়-বঙ্গে আগমন করিয়াছেন। byክ”