পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ሕSb” সীতাদেবী লক্ষমণের এই ভাব দর্শন করিরা সীতাদেবী বিশেষ ভীত হইলেন। না জানি কি অনৰ্থপাত হইয়াছে, এই ভাবিয়া তঁহার বদন মলিন হইয়া গেল ; তিনি যে কি বলিবেন, কি করিবেন, তাহা ভাবিয়া পাইলেন না। অবশেষে অতি কষ্টে আত্মসংবরণ করিয়া তিনি বসনাঞ্চলে লক্ষমণের অশ্রমার্জন করিয়া দিলেন। পরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বৎস, কি হইয়াছে, আমায় বল। তোমার এই ভাব দেখিয়া আমার মনে যে কত ভয়ের সঞ্চার হইয়াছে, তাহা আর বলিয়া উঠিতে পারি না। লক্ষমণ, আর বিলম্ব করিও না ; কেন তোমার এত ভাবান্তর হইল, আমাকে খুলিয়া বল; আমি আর এমন ংশয়িত অবস্থায় থাকিতে পারিতেছি না ।” লক্ষণ তখন অতি কষ্টে চিত্তের স্থৈৰ্য্য সম্পাদন করিয়া বলিলেন, “দেবি, বলিব কি, বলিতে আমার হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া যাইতেছে। আপনি একাকিনী রাবণগুহে ছিলেন, সেই কারণে পৌরগণ ও জনপদবৰ্গ আপনার চরিত্রবিষয়ে সন্দিহান হইয়া অপবাদ ঘোষণা করিয়া থাকে । আৰ্য্য তাহা শুনিয়া একেবারে স্নেহ, দয়া ও মমতায় বিসর্জন দিয়া, অপবাদমোচনার্থ আপনাকে পরিত্যাগ করিয়াছেন। তঁহার আদেশ এই যে, আপনাকে বাল্মীকির আশ্রমে পরিত্যাগ করিতে হইবে। দেবি, আমরা সেই বাল্মীকির আশ্রমে উপস্থিত হইয়াছি।” লক্ষণের মুখে এই নিদারুণ বাৰ্ত্তা শ্ৰবণ করিয়া