পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Son সীতাদেবী তাঁহাদের আশীৰ্বাদে পতিচারণাশ্ৰয়বঞ্চিত, পতিবিরহব্যথিত, অভাগী সীতা পতিধ্যানে নিমগ্ন থাকিয়া এই শ্বাপদসঙ্কুল জনহীন অরণ্যানীকেও সুখাশ্রয় বলিয়া মনে করিতে পরিবে । আর কি বলিব লক্ষমণ ! আমার প্রিয় ভগিনী উৰ্ম্মিলাকে আমার স্নেহশীর্বাদ এবং অপরাপর শুদ্ধান্তবাসিনীগণকে আমার প্ৰিয় সম্ভাষণ জানাইও, এবং তুমিও আমার সর্বান্তঃকরণের আশীৰ্বাদ লইয়া অগ্রজের চিত্তবিনোদনে অনুক্ষণ নিবিষ্ট থাকিও। দেখিও লক্ষণ, আমার এই শেষ অনুরোধ বিস্মৃত হইও না।” লক্ষমণ তখন সীতাদেবীর চরণে প্ৰণাম করিয়া ধীরে ধীরে নৌকায় আরোহণ করিলেন ; অল্পীক্ষণ পরেই নৌকা ভাগীরথীর অপর পারে সংলগ্ন হইল। লক্ষণ তীরে উত্তীর্ণ হইয়া রথে আরোহণ করিলেন । রথ চলিতে আরম্ভ করিল। যতক্ষণ দেখা যায়, লক্ষণ সীতাকে দেখিতে লাগিলেন; সীতাও রথের দিকে চাহিয়া রহিলেন। রথ দৃষ্টিপথ অতিক্রম করিয়া গেলে, সীতা চারিদিকে অন্ধকার দেখিতে লাগিলেন ; এতক্ষণ পরে নয়নজলে তাহার বসন ভিজিয়া গেল। তিনি সেই পবিত্রসলিলা ভাগীরথী-তীরে বসিয়া অশ্রঞ্চ বিসর্জন করিতে লাগিলেন । এদিকে ঋষিকুমারগণ ভ্ৰমণ করিতে করিতে ভাগীরথীতীরে উপস্থিত হইয়া সীতাকে এই অবস্থায় দর্শন করিলেন । দেবীসদৃশ মহিলাকে কোন কথা জিজ্ঞাসা করিতে সাহসী না