পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতাদেবী So দিলেন। আমি কুশলবকে সঙ্গে লইয়া এই অশ্বমেধ যজ্ঞে গমন করিব ; তাহারা ঋষিকুমার পরিচয়ে যজ্ঞস্থলে এবং অযোধ্যানগরীর নানা স্থানে রামায়ণ গান করিবে । তাহারা যে প্ৰকার শিক্ষা লাভ করিয়াছে, এবং তাহাদিগের অবয়বের সহিত মহারাজ রামচন্দ্রের অবয়বের যে সৌসাদৃশ্য বৰ্ত্তমান, তাহাতে এই বালকদ্বয়ের প্রতি মহারাজের মনোযোগ আকৃষ্ট হইবেই তাহাতে সন্দেহমাত্ৰও নাই ; তাহা হইলেই আমার অভীষ্ট সিদ্ধ হইবে। কিন্তু মা জানকীর বিনা অনুমতিতে র্তাহার কুমারদ্বয়কে অযোধ্যার রাজসভায় লইয়া যাওয়া আমারও পক্ষে কৰ্ত্তব্য নহে। মনে মনে এই চিন্তা করিয়া মহর্ষি বাল্মীকি সীতার কুটীরে উপস্থিত হইয়া কহিলেন, “বৎসে, মহারাজ রামচন্দ্ৰ অশ্বমেধ যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়াছেন। আমি সেই যজ্ঞের নিমন্ত্রণা-পত্ৰ পাইয়াছি। তোমার পুত্ৰদ্ধয়কে আমি শিষ্যভাবে সঙ্গে লইতে চাই । তোমার কি ইহাতে কোনও আপত্তি আছে ?” সীতাদেবী ধীর ও নােম স্বরে বলিলেন, “ভগবন, বালকদ্বয় যদিও আমার গর্ভজাত, যদিও মহারাজ রামচন্দ্রের ঔরসে তাহদের জন্ম, তবুও আমরা উহাদের কেহই নাহি ; আপনিই উহাদের যথাসর্বস্ব। বালকদ্বয়ের মঙ্গলের জন্য এক্ষণে আপনি যাহা কহিবেন, তাহার উপর কথা বলিবার লোক জীবিত থাকা সত্ত্বেও, বালকদ্বয় সে অনুগ্রহে দুৰ্ভাগ্যক্রমে বঞ্চিত। অযোধ্যায় গমনপূর্বক কি প্রকার ব্যবহার করিতে হইবে, সে বিষয়ে