পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जोडgगदी SO ও যুবরাজগণের গুণাবলী কীৰ্ত্তিত হইলে, রাজকন্যা উহাদের মধ্যে র্যাহাকে ইচ্ছা তঁহারই গলায় বরমাল্য অৰ্পণ করিতেন। এই দুইটি ব্যতীত আর একটি উপায়ও ক্ষত্ৰিয়রাজ-সমাজে প্রচলিত ছিল। বিবাহ-প্রার্থী বরের বলের পরীক্ষা গৃহীত হইত। যিনি এই প্রকারে বা ঐ প্রকারে বীরত্বের পরিচয় প্ৰদান করিবেন, তিনি কুমারীর উপযুক্ত বর হইবেন । রাজা জনক অনেক চিন্তা করিয়া তাহার হৃদয়ানন্দদায়িনী দুহিতার বিবাহের জন্য এই শেষোক্ত উপায় অবলম্বন করাই স্থির করিলেন । কোন এক সময়ে দেবাদিদেব মহাদেব দক্ষযজ্ঞ বিনাশ করিবার জন্য এক প্ৰকাণ্ডকায় শরাসন গ্ৰহণ পূর্বক তাহাতে শরযোজনা করিয়া ক্রোধাভরে দেবতাদিগকে আহবানপূর্বক বলিয়াছিলেন যে, তোমরা এই যজ্ঞের অংশ আমাকে প্ৰদান করিবে না বলিয়া স্থির করিয়াছ এবং তাহারই ব্যবস্থা করিয়াছ । আমি তোমাদিগের এই অপরাধের শান্তি-বিধান করিবার জন্য এই শরনিক্ষেপে তোমাদের সকলের বিনাশী-সাধন করিব । দেবগণ মহাদেবের কথা শুনিয়া মহা ভীত হইলেন এবং নানা প্ৰকার স্তব করিয়া তাহার ক্ৰোধশান্তি করিলেন। মহাদেব তখন সেই বিশাল শরাসন পরিত্যাগ করিলেন । দেবতারা এই হরধনু মহারাজ জনকের পূর্ব-পুরুষ নিমির পুত্ৰ দেবরাতের নিকট রাখিয়া দিলেন । তদবধি হরধনু মিথিলা রাজ-গৃহেই ছিল। এমন প্ৰকাণ্ড ধনু সে সময়ে আর