পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NÒV সীতাদেবী হইতেই মারািচ ও সুবাহু নামে দুইজন রাক্ষস আসিয়া যজ্ঞবেদীতে মাংস-খণ্ড নিক্ষেপ ও রুধির-ধারা বর্ষণ করিতেছে । ইহাতে তাহার যজ্ঞ পণ্ড হুইয়া গিয়াছে। তিনি সেই জন্য অযোধ্যায় উপস্থিত হইয়াছেন । তিনি শুনিয়াছেন যে, রাজপুত্র রামচন্দ্ৰ মহাবীর। তিনি স্বীয় দিব্য তেজঃপ্রভাবে যজ্ঞবিঘ্নকারী রাক্ষসদিগের নিধন-সাধনে সমর্থ হইবেন । অতএব কয়েক দিনের জন্য রামচন্দ্ৰকে তাহার আশ্রমে প্রেরণা করিতে হইবে । মহৰ্ষির কথা শুনিয়া রাজা দশরথ অত্যন্ত ভীত হইলেন। রামচন্দ্ৰ যুদ্ধ-বিদ্যায় সুশিক্ষিত হইলেও তিনি কি মারীচ ও সুবাহুকে যুদ্ধে পরাজিত করিতে পারিবেন ? পুত্ৰ-মেহের বশবত্তী হইয়া মহারাজ দশরথ নানা চিন্তা করিতে লাগিলেন। তঁহাকে বিষন্ন দেখিয়া মহর্ষি যখন ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিলেন, তখন তিনি নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও রামকে ঋষির হস্তে সমর্পণ করিলেন। মহাবীর লক্ষমণ রামের বড়ই অনুগত ছিলেন ; তিনি জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাকে ছাড়িয়া থাকিতে পারিলেন না। মহৰ্ষির অনুমতি গ্ৰহণ করিয়া তিনিও রামের অনুগমন করিলেন । যথাসময়ে রাক্ষসদিগকে নিহত করিয়া রামচন্দ্ৰ মহর্ষির আশ্রমকে নিরাপদ করিলেন। মহর্ষি হৃষ্টচিত্তে তাহার আরব্ধ যজ্ঞ-কাৰ্য্য নির্বিঘ্নে সম্পাদনা করিলেন। তখন এক দিন মহর্ষি বিশ্বামিত্র রামচন্দ্ৰকে হরধনুর বিবরণ। বলিলেন। তিনি বলিলেন যে, রাজর্ষি জনক এই প্ৰতিজ্ঞা করিয়াছেন যে, ৰে