পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতাদেৰী y মহাবীর সেই হরধনুতে জ্যারোপণ করিতে পারিবেন, তঁহারই হস্তে তিনি তাঁহার সর্বগুণসম্পন্ন পরম সুন্দরী দুহিতা সীতাকে সমপণ করিবেন । এই হরধনুতে জ্যারোপণ করিাবার জন্য কত দেশের কত মহাবীর রাজর্ষি জনকের গৃহে সমাগত হইয়াছিলেন ; কিন্তু জ্যারোপণ করা দূরে থাকুক - কেহই সে প্ৰকাণ্ডকায় হরধনু উত্তোলন করিতেও সমর্থ হয়েন নাই। মহৰ্ষির এই বাক্য শুনিয়া হরধনু দর্শনের জন্য রামচন্দ্রের বীর-হৃদয়ে বিশেষ কুতুহলের সঞ্চার হইল। তিনি মহৰ্ষির নিকট কৃতাঞ্জলিপুটে হরধনু-দৰ্শন-বাসনা নিবেদন করিলে, মহর্ষি হৃষ্টচিত্তে তাঁহাদিগকে জনকরাজ-গৃহে লইয়া যাইতে সম্মত হইলেন । যথাসময়ে তঁহার রাজর্ষি জনকের ভবনে উপস্থিত হইলে, মহারাজ জনক। তঁহাদের যথাযোগ্য অভ্যর্থনা করিলেন। বিশ্বামিত্ৰ মহারাজ জনকের নিকট রাম ও লক্ষমণের পরিচয় প্ৰদান পুর্বক কহিলেন, “আপনার আলয়ে যে হরধনু সংগৃহীত আছে, উহার দর্শনার্থী হইয়া এই ত্ৰিলোকবিশ্রাত ক্ষত্ৰিয়কুমারদ্বয় এখানে উপস্থিত হইয়াছেন; ইহার হরধনুদর্শনে সফল-মনোরথ হইয়া গৃহে গমন করিবেন।” তখন রাজর্ষি জনকের আদেশে অনেকগুলি দীর্ঘাকার হৃষ্ট- , পুষ্ট-বলিষ্ঠ মনুষ্য অতি কষ্টে ধনুখানি আকর্ষণ করিয়া সেই স্থানে আনয়ন করিল। মহর্ষি বিশ্বামিত্র তখন রামকে কহিলেন “বৎস রাম, এই হরধনু অবলোকন কর।” রাম তখন ধনুর R