পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতাদেবী NGO রামচন্দ্রের প্রতি আকৃষ্ট হইল। বিশেষতঃ রাজর্ষি জনক এই ধনুৰ্ভঙ্গ পণ করিয়া বড়ই চিন্তাকুলচিত্তে কালব্যাপন করিতেছিলেন। তাঁহার মনে হইয়াছিল, এই বিশাল হরধনু কেহই ভঙ্গ করিতে পরিবে না ; তঁহার সর্বগুণসম্পন্ন দুহিতারও বিবাহ ঘটবে না। এক্ষণে রামচন্দ্ৰ সেই হরধনু ভঙ্গ করিয়াছেন শুনিয়া সীতাদেবী মনে মনে স্থির করিলেন, যিনি তাঁহার পিতাকে চিন্তামুক্ত করিয়াছেন, তিনি রূপগুণশালী হউন আর না হউন, তঁহাকে পতিত্বে বরণ করা এবং সেই পতির চরণে মনঃ জীবন সমৰ্পণ করা তাহার অবশ্য কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম । তাহার পর যখন রামচন্দ্রের রূপ, গুণ, মহনীয় চরিত্র প্রভৃতির কথা শ্রবণ করিলেন, তখন যে তাঁহার হৃদয় রামময় হইয়া যাইবে, তাহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ৷ কয়েক দিবসের মধ্যেই ভরত, শত্রুম, কুলগুরু বসিষ্ঠ এবং বহুসংখ্যক অনুচর-সমভিব্যাহারে মহারাজ দশরথ জনক ভবনে সমাগত হইলেন । মহাত্মা জনকও তাঁহাদের সমুচিত সৎকার করিয়া মহারাজ দশরথের অনুমতি গ্ৰহণপূর্বক বিবাহের আয়োজনে প্ৰবৃত্ত হইলেন। মহর্ষি বসিষ্ঠ ও বিশ্বামিত্র পরামশীর্ণ করিয়া লক্ষমণের সহিত জনকের অপরা তনয়৷ উৰ্ম্মিলার এবং ভরত ও শক্রক্সের সহিত জনকরাজের ভ্ৰাত কুশধ্বজের কন্যা মাণ্ডবী ও শ্রুতকীৰ্ত্তির যথাক্রমে বিবাহ স্থির করিলেন । যথাসময়ে বিবাহকাৰ্য্য মহাসমারোহে সুসম্পন্ন হইল। সীতাদেবী রামচন্দ্রের সুকুমার কান্তি এবং