পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RO সীতাদেবী সৌম্য ও প্ৰসন্ন মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া চিরদিনের জন্য তাঁহার চরণে আত্মসমৰ্পণ করিলেন ; জীবনে মরণে ছায়ার ন্যায় রামচন্দ্রের অনুগত থাকিবেন বলিয়া প্ৰতিজ্ঞারাঢ় হইলেন। রামও নবপরিণীত সীতার সরল ও পবিত্র মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া তাঁহাকে হৃদয়ের অধিষ্ঠাত্রী দেবীরূপে চিরদিনের জন্য হৃদয়ে প্ৰতিষ্ঠিত করিলেন। বিবাহের পরদিনে বিদায়ের আয়োজন হইতে লাগিল। রাজর্ষি জনক কন্যা ও ভ্রাতুষ্পপুত্ৰাদিগকে অসংখ্য গো, অশ্ব, হস্তী, মণি, মুক্তা, বসন, ভূষণ, রথ, পদাতি, দাস, দাসী প্রভূতি কন্যাধনস্বরূপ প্ৰদান করিলেন । মহারাজ দশরথ পুত্র ও বধূগণ-সমভিব্যাহারে অযোধ্যা অভিমুখে গমন করিতে লাগিলেন। পথিমধ্যে মহাবীর পরশুরাম তাহাদিগের গতিরোধ করিলেন । তিনি রামচন্দ্ৰকে বলিলেন, “হে বীরাগ্রগণ্য দশরথ তনয় রাম । আমি তোমার ধনুৰ্ভঙ্গব্যাপার শ্রবণ করিয়াছি। তুমি আমার হস্তস্থিত শরাসনে শরীসন্ধান করিয়া আকর্ষণ ও তোমার বল প্ৰদৰ্শন কর । এই ধনুর আকর্ষণে তোমার বল পরীক্ষা করিয়া। তবে তোমার সহিত দ্বন্দ্বযুদ্ধে প্ৰবৃত্ত হইব।” জামদগ্ন্যের এই স্পৰ্দ্ধাপূর্ণ বাক্য শ্ৰবণ করিয়া রামচন্দ্ৰ তঁহার হস্ত হইতে সেই ধনুর্ববাণ গ্ৰহণ করিলেন এবং তাহাতে জ্যারোপণ ও শরসন্ধান করিয়া কহিলেন, “আপনি ব্ৰাহ্মণআমার পূজ্য। সেই কারণে আপনার উপর এই শর পরিত্যাগ করিতে পারিতেছি না। এক্ষণে অনুমতি করুন,