পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় রাম, লক্ষণ, সীতা ও সুমন্ত্র যখন তমসা নদীর তীরে উপস্থিত হইলেন, তখন দিবা অবসান হইয়াছে। তঁহারা বনবাসের প্রথম রজনী পুণ্যসলিলা তমসার তীরেই অতিবাহিত করিলেন। লক্ষমণ পৰ্ণশয্যা রচনা করিয়া দিলেন ; প্ৰকৃতির নীল চন্দ্ৰাতপতলে রাজপুত্র ও রাজকুলবধু শয়ন করিলেন। লক্ষণ ও সুমন্ত্র প্রহরীস্বরূপ জাগিয়া থাকিলেন । প্ৰাতঃকালে গাত্ৰোথান করিয়া ভঁাহারা পুনরায় চলিতে লাগিলেন এবং কিয়ৎক্ষণ পরেই গুহ চণ্ডালের রাজ্যে উপস্থিত হইলেন । গুহ রামচন্দ্রের বাল্যকালের সখা ছিলেন ৭ গুহ যখন শুনিলেন যে, রামচন্দ্ৰ ভঁহার রাজ্যে সমাগত হইয়াছেন, তখন তিনি হৃষ্টচিত্তো রামের নিকট উপস্থিত হইলেন। কিন্তু রামচন্দ্রের মুখে যখন তাঁহাদের আগমনের কারণ শুনিতে পাইলেন, তখন আর তঁহার ক্ষোভের সীমা থাকিল না । গুহ রামচন্দ্ৰকে চতুৰ্দশ বৎসর ভঁাহার রাজ্যেই বাস করিতে বলিলেন ; কিন্তু রাম তাহাতে সম্মত হইলেন না। সে দিন গুহের রাজধানীতেই তাহারা অবস্থান করিলেন । এইবার তাহাদিগকে গঙ্গাপার হইতে হইবে । গুহ তাহদের পারের জন্য তরী আনাইয়া দিলেন। এখান হইতে র্তাহারা সুমন্ত্রকে বিদায় করিলেন। সুমন্ত্র কঁাদিতে কঁাদিতে শূন্য-প্ৰাণে শূন্য