পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जोडgदी e স্বাস করিবার জন্য তঁহাদিগকে বালয় দিলেন । তঁহারা তখন মুনিবারের নিকট বিদায় গ্ৰহণ পূর্বক একখানি ভেলার সাহায্যে যমুনা পার হইয়া চিত্ৰকূট পৰ্বতে উপস্থিত হইলেন। লক্ষণ সেই স্থানে কুটীর নিৰ্ম্মাণ করিলেন ; তঁাহারা সেই নির্জন পর্বতে সামান্য কুটীরে বাস করিতে লাগিলেন। সীতা ভাবিলেন, “এই আমার দুৰ্গ, এই কুটিরই আমার রাজপ্রাসাদ ” এদিকে অযোধ্যায় ঘোর দুদিন উপস্থিত। রামচন্দ্ৰ বিদায় লইবার পর হইতে বৃদ্ধ রাজা দশরথ আর শয্যাত্যাগ করেন নাই। পুত্ৰ-শোকে তৎপরদিনই তিনি প্ৰাণত্যাগ করিলেন। রাজপুরীর মধ্যে হাহাকার পড়িয়া গেল। মৃত মহারাজের সৎকার কি করিয়া হয়, ইহাই তখন অমাত্যবগের চিন্তার বিষয় হইল। জ্যেষ্ঠপুত্র রাম বনবাসী, লক্ষণ র্তাহার সঙ্গে গিয়াছেন। ভরত ও শক্রিয় অযোধ্যায় ছিলেন না ; তঁহারা মাতুলালয়ে ছিলেন ; অযোধ্যার কোন সংবাদই তাহারা জানিতে পারেন নাই । অমাত্যগণ তখন ভরত ও শক্রিত্নকে আনিবার জন্য লোক প্রেরণ করিলেন । যথাসময়ে তাহারা অযোধ্যায় উপস্থিত হইয়া সকল কথা শুনিলেন । ভারতের মস্তকে আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িল। তিনি পিতৃশোকে অধীর হইলেন ; মায়ের ব্যবহারে ঘূণায় লজ্জায় ত্ৰিয়মান হইলেন । যথাসময়ে পিতার কাৰ্য্য শেষ করিয়া মহামতি ভরত জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাকে অযোধ্যায় ফিরাইয়া আনিবার জন্য অমাত্যবৰ্গ ও পৌরজন সহ যাত্ৰা করিলেন। তিনি বলিলেন,