পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o সীতাদেবী সীতার সম্মুখেই রাম ও লক্ষণের নিকট তাহার মনোভাব ব্যক্ত করিল । রাম ও লক্ষমণ তাহাকে সেস্থান হইতে চলিয়া যাইবার জন্য আদেশ করিলেন। রাক্ষসী ইহাতে অপমান বোধ করিয়া সীতাদেবীকে ভক্ষণ করিবার জন্য বদনব্যাদান করিয়া তঁহার দিকে অগ্রসর হইল । লক্ষণ তখন আর স্থির থাকিতে পারিলেন না ; স্ত্রী-হত্যা মহা পাপ মনে করিয়া খড়গ দ্বারা শূৰ্পণখার নাসাকৰ্ণ ছেদন করিয়া দিলেন ; রাক্ষসী চীৎকার করিতে করিতে চলিয়া গেল । লঙ্কার অধিপতি মহাপরাক্রান্ত রাক্ষস-রাজ রাবণ শূপণখার জ্যেষ্ঠ মাতৃস্বসেয়া ভ্ৰাতা। রাবণ শূৰ্পণখাকে অত্যন্ত স্নেহ করিতেন। বিধবা শূৰ্পণখা অত্যন্ত দুৰ্দ্ধৰ্ষা ছিল ; সে নানাস্থানে ভ্ৰমণ করিয়া বেড়াইত । গভীর দণ্ডকারণ্যে সে অনেক সময়ে বাস করিত । রাবণ ভগিনীর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খর ও দূষণ নামক দুই ভ্রাতার অধীনতায় চতুৰ্দশ সহস্ৰ সৈন্য দিয়াছিলেন। তাহারা পঞ্চবটীর অদূরে জনস্থান নামক স্থানে বাস করিত। শূৰ্পণখা ছিন্ননাসাকৰ্ণ হইয় তাহাদিগের নিকট উপস্থিত হইল এবং সমস্ত কথা তাহদের নিকট বলিল। খর ও দূষণ। এই কথা শ্ৰবণ করিয়া ক্ৰোধ প্ৰজ্বলিত হইয়া উঠিল; সন্ন্যাসীর এত বড় সাহস যে দেবদর্পহারী রাবণরাজার ভগিনীকে অপমান করে । কেবল কি অপমান, তাহাকে চিরদিনের জন্য নাসাকৰ্ণবিহীন করিয়া দেয় । এখনই সেই পামরদিগের যথোপযুক্ত শাস্তি বিধান করিতে হইবে। আমনি