পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতাদেবী 8S চারিদিকে সাজ সাজ রব পড়িয়া গেল। চতুর্দশ সহস্র রাক্ষসসেনা দুইটি সন্ন্যাসীর বধের জন্য বনভূমি কম্পিত করিয়া যাত্রা করিল। আশ্রমকুটীরে বসিয়াই রাম, লক্ষণ, সীতা এই কোলাহল শুনিতে পাইলেন। নিশ্চয়ই কোন বিপদ উপস্থিত হইবে স্থির করিয়া রাম লক্ষমণ সতর্ক হইলেন । রামচন্দ্ৰ জানকাকে নিকটবৰ্ত্তী একটি পর্বতগুহায় রাখিয়া এবং লক্ষণের প্রতি তাহার রক্ষার ভার অপণ করিয়া একাকী ধনুৰ্বাণ-হস্তে কুটিরের দ্বারদেশে দণ্ডায়মান রহিলেন । দেখিতে দেখিতে চারিদিক হইতে রাক্ষসসৈন্য কুটির বেষ্টন করিয়া ফেলিল। তাহদের ভীষণ মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া পুরুষশ্ৰেষ্ঠ মহাবীর রামচন্দ্র একটুও ভীত হইলেন না ; তিনি অটল ভূধরের ন্যায় স্থিরভাবে দণ্ডায়মান থাকিয় তাহাদের গতিবিধি লক্ষ্য করিতে লাগিলেন। একদিকে চতুৰ্দশ সহস্ৰ রাক্ষসসৈন্য এবং তাহদের অধিনায়ক খর ও দূষণ, অপরদিকে ধনুৰ্বাণ-হস্ত একাকী রামচন্দ্র। রাক্ষসেরা এমন নিৰ্ভীক বীরপুরুষ কখনও দেখে নাই। তাহারা ক্ষণকালের জন্য স্তম্ভিত হইল। তাহার পরেই বিপুল বিক্ৰমসহকারে তাহারা রামচন্দ্ৰকে আক্রমণ করিল। চারিদিক হইতে তাহার উপর অস্ত্রবৃষ্টি হইতে লাগিল। রাম তাহাতে ভ্ৰক্ষেপও করিলেন না ; তিনি অবিশ্রান্ত বাণ নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন ; দলে দলে রাক্ষস-সৈন্য নিহত হইতে লাগিল। তঁহার অপূর্ব রণকৌশল দর্শনে রাক্ষসগণ ভীত হইল, কিন্তু কেহই রণস্থল