পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতাদেবী 8ዓ গমন করিতে বলিলেন এবং শিরে করাঘাত করিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। লক্ষণ সীতাকে সাস্তুনা করিতে লাগিলেন ; বলিলেন, “দেবী। আপনি অস্থির হইবেন না। দাদার কোন বিপদ হইতেই পারে না। সসাগরা পৃথিবীর মধ্যে এমন কেহ নাই যে, দাদাকে বিপন্ন করিতে পারে। তিনি এমন করিয়া আৰ্ত্তনাদ করিতে পারেন না । আমি পূর্বেও বলিয়াছি, এখনও বলিতেছি, কোন মায়াবী রাক্ষস স্বর্ণমৃগের রূপ ধারণ করিয়া আসিয়াছিল। আপনি যে চীৎকার শ্রবণ করিলেন, তাহ সেই রাক্ষসের স্বর। আপনি কোন ভয় করিবেন না । আপনাকে এই অরণ্যের মধ্যে একাকিনী ফেলিয়া যাওয়া কোন মতেই সঙ্গত হইবে না। আপনি দেখিতে পাইবেন, দাদা এখনই সুস্থ শরীরে কুটীরে আসিবেন।” কিন্তু সীতাদেবী লক্ষণের এই কথায় কৰ্ণপাত করিলেন না; রামচন্দ্ৰ বিপদে পতিত হইয়াই চীৎকার-পূর্বক সাহায্য প্রার্থনা করিয়াছেন, ইহাই ভঁাহার দৃঢ়বিশ্বাস হইল। তখন তিনি আত্মহারা হইলেন, তাহার বিবেচনা-শক্তির লোপ হইল। যে সীতার ন্যায় সরলা ও মধুরভাষিণী জগতে দুর্লভ, আজ তিনি স্বামীর বিপদ আশঙ্কা করিয়া পাগলিনীর মত হইলেন ; তঁহার হিতাহিত জ্ঞান থাকিল না। লক্ষণকে অবিচলিত দেখিয়া তাহার মনে সন্দেহের আবির্ভাব হইল । তাহার ক্রোধানল প্ৰজ্বলিত হইল ; তিনি মনে করিলেন