রামায়ণের সূচনা বহুকাল পুর্বে চ্যবন নামে এক ঋষি ছিলেন। র্তাহার পুত্রের নাম ছিল রত্নাকর। রত্নাকর ঋষিপুত্ৰ হইলেও লেখাপড়া শিখেন নাই। রত্নাকর যখন উপযুক্ত হইলেন, তখন সংসার-প্ৰতিপালনের ভার তাহাকেই গ্ৰহণ করিতে হইল। সংসার-প্ৰতিপালন করিতে হইলে অর্থের প্রয়োজন ; অর্থার্জন করিতে হইলে বিদ্যাবুদ্ধি চাই। রত্নাকরের বিদ্যাও ছিল না, সুবুদ্ধিও ছিল না। তিনি অর্থ উপাৰ্জনের জন্য অতি ঘৃণিত মহাপাপের পন্থা অবলম্বন করিলেন,-রত্নাকর দাসু্যবৃত্তি গ্ৰহণ করিলেন। তাহার গৃহের পার্থেই অরণ্য ; অরণ্যের পাশ্বেই নির্জন পথ। সেই পথে যে সমস্ত লোক গমনাগমন করিত, তিনি তাহাঁদের সর্বস্ব কাড়িয়া লইতেন, প্রয়োজন হইলে নরহত্যা করিতেও কুণ্ঠ বোধ করিতেন না । এইভাবে কিছুদিন যায়। ব্ৰাহ্মণ-তনয়ের এই পাপকাৰ্য্য দেখিয়া স্বগের দেবতাগণ ব্যথিত হইলেন ; তাহার উদ্ধারের জন্য দেবতাদিগের বাসনা হইল । দেবতার
পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।