পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8bም সীতাদেবী লক্ষণ কোন কু-অভিসন্ধি সাধনের জন্যই এখনও নিশ্চিন্তভাবে বসিয়া আছেন, রামের সাহায্যের জন্য যাইতেছেন না । তখন তিনি পাগলিনীর মত হইলেন । তিনি রোষাভরে লক্ষণকে বলিলেন, “নৃশংস, কুলাধম! তুই অতি কুকাৰ্য্য করিতেছিস ; বোধ হয় রামের বিপদ তোর প্রীতিকর হইবে ; এই নিমিত্ত তুই তাহার সঙ্কট দেখিয়া ঐ রূপ কহিতেছিস। তোর দ্বারা যে পাপ অনুষ্ঠিত হইবে, ইহা নিতান্ত বিচিত্র নহে। তুই কপট, ক্রর ও জ্ঞাতি-শত্রু। দুষ্ট, এক্ষণে তুই ভারতের নিয়োগে বা স্বয়ং প্রচ্ছন্নভাবেই হউক, আমার জন্য একাকী রামের অনুসরণ করিতেছিস। কিন্তু তোদের মনোরথ কখনই সফল হইবার নহে। এক্ষণে তোর সমক্ষেই আমি প্ৰাণত্যাগ করিব। আমি নিশ্চয়ই কহিতেছি, রাম বিনা ক্ষণকালের জন্যও আমি এই পৃথিবীতে জীবিত থাকিব না।” সীতাদেবীর মুখ হইতে যে এমন কথা বহির্গত হইবে, ইহ কেহই কখন ভাবেন নাই । তিনি সত্যসত্যই আজি হিতাহিত-জ্ঞানশূন্য হইয়াছিলেন ; নতুবা লক্ষণের প্রতি কি তিনি এমন কুবাক্য প্রয়োগ করিতে পারেন। এতদিনের মধ্যে লক্ষণ র্যাহার মুখে কখন সামান্য একটা রূঢ় কথাও শ্রবণ করেন নাই, তিনি যে আজ এমন পরুিষভাষিণী হইলেন, ইহা তাহার অদৃষ্টের লিপি। তঁহাকে ঘোর বিপদে পড়িতে হইবে, ইহা তাহারই পূর্বাভাষা। যে লক্ষণ রাজ্যভোগ ত্যাগ করিয়া তঁহাদের সহিত বনের কষ্ট অমানবদনে স্বীকার করিয়াছেন,