পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Go সীতাদেবী হইতেছে, ইহাতে বস্তুতই আমার মনে নানা প্ৰকার আশঙ্কা হয়। এক্ষণে বনদেবতারা তোমায় রক্ষা করুন, আমি রামের সহিত প্ৰত্যাগমন করিয়া আবার যেন তোমার দর্শন পাই ।” সীতাদেবী এ কথার কোন উত্তর করিলেন না ; তিনি তখন স্বামীর অমঙ্গল চিন্তা করিয়া অবিশ্রান্ত রোদন করিতেছেন। লক্ষমণ আর কোন কথা না বলিয়া নিতান্ত বিষন্ন মনে বনের মধ্যে চলিয়া গেলেন। সীতা একাকিনী কুটীরে অবস্থিতি করিতে লাগিলেন। এদিকে দুরাত্মা রাবণ এতক্ষণ যে সুযোগ অনুসন্ধান করিতেছিলেন, তাহা উপস্থিত দেখিয়া তিনি সন্ন্যাসীর বেশ ধারণা করিয়া, नोडॉंद्र কুটীর-দ্বারে উপস্থিত হইলেন। তিনি সীতার অলৌকিক রূপ দৰ্শন করিয়া বিস্মিত হইলেন ; তঁহার মনে হইল, জগতের রূপরাশি একত্ৰ করিয়াই যেন ভগবান সীতাকে নিৰ্ম্মিত করিয়াছেন । তিনি তখন সীতাকে তাহার পরিচয় এবং ভীষণ অরণ্যে কোন সাহসে তিনি একাকিনী বাস করিতেছেন, তাহা জিজ্ঞাসা করিলেন । কুটীর-দ্বারে তেজঃপুঞ্জ সন্ন্যাসীকে সমাগত দেখিয়া সীতা তঁহাকে ভক্তিভরে প্রণাম করিয়া আসন প্ৰদান করিলেন এবং অতি ংক্ষেপে আত্ম-পরিচয় প্ৰদান করিলেন । তিনি বলিলেন যে, তাহার স্বামী ও দেবর এখনই প্ৰত্যাগত হইবেন ; একটু অপেক্ষা করিলেই তঁহাদের সহিত সাক্ষাৎ হইবে। রাবণের কি আর অপেক্ষা করিবার সময় আছে । তিনি