পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতাদেবী ○ > তখন আত্মপরিচয় প্ৰদান করিলেন এবং সীতাকে যে প্রকারে হউক। তিনি লঙ্কায় লইয়া যাইবেন, এ অভিপ্ৰায়ও অমানবদনে ব্যক্ত করিলেন । এই কথা শুনিয়া সীতার ভয় হইল না। ; এক অমানুষী শক্তিতে তিনি অনুপ্ৰাণিত হইলেন । তখন র্তাহার মুক্তি সর্ব-সংহারিণী হইল ; সতীর তেজোমহিমায় ভূষিত হইয়া তিনি রোষাভরে বলিলেন “রাক্ষস, তুই শৃগাল হইয়া সিংহীতে অভিলাষ করিতেছিস্ ? তুই আমাকে স্পর্শও করিতে পারিবি না। তুই একটু অপেক্ষা কর, এখনই ধনুৰ্ব্বাণধারী রামচন্দ্ৰ বীর লক্ষমণের সহিত উপস্থিত হইয়া তোর উপযুক্ত দণ্ড বিধান করিবেন।” সীতার এই দুর্বাক্য রাবণের অসহ্য হইল। এদিকে যে কোন মুহূৰ্ত্তে রাম লক্ষণও কুটীরে আসিতে পারেন। অতএব কালবিলম্ব না করিয়া তিনি ছদ্মবেশ পরিত্যাগ করিলেন। সীতাদেবী সািভয়ে দেখিলেন, এক মহাপরাক্রান্ত রাক্ষস তাহার সম্মুখে দণ্ডায়মান। তিনি তখন চতুৰ্দিক অন্ধকারময় দেখিলেন, বুঝিলেন, এই পাপাত্মার হস্তে আজ তঁহার নিস্তার নাই। রাবণ তখন বলপূর্বক বামহস্তে সীতার কেশ ও দক্ষিণ হস্তে র্তাহার পদদ্বয় ধারণ করিয়া কুটীর হইতে টানিয়া বাহির করিলেন। দেখিতে দেখিতে একখানি রথ কুটার-প্রাঙ্গণে উপস্থিত হইল । সীতাদেবী রাবণের হস্ত হইতে মুক্তিলাভের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করিতে লাগিলেন ; কিন্তু তঁহার সকল চেষ্টাই বিফল হইল।