পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VeR সীতাদেবী চরণে আমাকে ফিরাইয়া দিয়া ক্ষমা প্রার্থনা করা। রামচন্দ্ৰ পরম ক্ষমাশীল ; তোর এই মহাপাপও তিনি ক্ষমা করিবেন। নতুবা আমি বলিতেছি, তোর আর রক্ষা নাই । আমি দিব্যচক্ষে দেখিতে পাইতেছি, তোর মরণের দিন ক্রমেই নিকটবৰ্ত্তী হইতেছে ; মহাবীর রামচন্দ্ৰ তোর শাস্তি-বিধানের ও ন্য শীঘ্রই এখানে আসিবেন ; তখন আর কিছুতেই আত্মরক্ষা করিতে পারিবি না। আমি অভিশাপ প্ৰদান করিতেছি, তোর এই পুরী ধ্বংস হইয়া যাইবে।” সীতার এই সকল কথা শুনিয়া রাবণ ক্ৰোধাভরে সে স্থান পরিত্যাগ করিলেন ; চেড়ীগণও তখন রাবণের অনুগমন করিল। সীতাদেবীর সহিত সাক্ষাৎ করিবার এই সুন্দর সময় বুঝিয়া হনুমান বৃক্ষ হইতে অবতীর্ণ হইয়া সাঁতাদেবীর সম্মুখে গমন করিলেন এবং কৃতাঞ্জলিপুটে উৰ্তাহার চরণবন্দনা করিলেন। সাত প্ৰথমে মনে করিলেন, বুঝি কোন মায়াবী রাক্ষস বানরের বেশ ধারণা করিয়া তাহাকে ছলনা। করিতে আসিয়াছে; কিন্তু হনুমান যখন রাম-লক্ষণ সম্বন্ধে সমস্ত কথা একে একে নিবেদন করিলেন এবং সীতাদেবীর প্ৰত্যয়ের জন্য রামপ্রদত্ত অঙ্গুরীয়ক সীতার হস্তে প্ৰদান করিলেন, তখন সীতার মনে আর কোন সন্দেহ থাকিল না। তিনি ক্ৰন্দন করিতে করিতে রাম-লক্ষমণ সম্বন্ধে কত কথা হনুমানকে জিজ্ঞাসা করিলেন। হনুমানও সকল কথার উত্তর দিতে লাগিলেন। অবশেষে হনুমান বলিলেন, “মা, আপনি যদি