পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতাদেবী VO) আজ্ঞা করেন, তাহা হইলে আপনাকে আমার পৃষ্ঠে তুলিয়া লইয়া এখনই এ স্থান ত্যাগ করি।” হনুমানের কথা শুনিয়া সীতা বলিলেন “বাছা, রামচন্দ্রের চরণ দর্শন করিবার জন্য আমি এতদূর ব্যগ্র হইয়াছি যে, তোমার প্রস্তাবে এখনই সম্মত হইতে ইচ্ছা হইতেছে। পরন্তু বাছা, তুমিই বল, আমার কি পরপুরুষ স্পর্শ করা কীৰ্ত্তব্য ? যদিচ দুরাত্মা রাবণ আমাকে স্পর্শ করিয়াছিল ; কিন্তু তখন আমার কোন শক্তিই ছিল না । ইচ্ছা করিয়া আমি পরপুরুষ স্পর্শ করিতে পারিব না। তুমি রামচন্দ্ৰকে এই কথা বলিও, তিনি যেন স্বয়ং আসিয়া আমাকে উদ্ধার করিয়া লইয়া যান ।” সীতার এই কথা শুনিয়া হনুমানের মনে অতিশয় ভক্তির উদয় হইল ; তিনি বুঝিলেন যে, সীতার ন্যায় পতিপরায়ণা-সাধিবী ভূমণ্ডলে আর নাই। হনুমান তখন সীতাদেবীর নিকট বিদায় প্রার্থনা করিলেন, অনৰ্থক সময় নষ্ট করিতে র্তাহার ইচছা হইল না । যত শীঘ্ৰ সীতার সংবাদ রামকে দিতে পারেন, ততই ভাল মনে করিয়া হনুমান সেই দিনেই লঙ্কাত্যাগের সঙ্কল্প করিলেন । রামের প্রত্যয় জন্মাইবার জন্য সীতাদেবী আপনার মস্তক হইতে একটী চুড়ামণি উন্মোচন করিয়া হনুমানের হস্তে দিলেন। হনুমান এই অভিজ্ঞান লইয়া অশোকবন হইতে বাহির হইলেন। তঁহার মনে হইল যে, এতদুরে আসিয়া রাবণের শক্তিপরীক্ষা না করিয়াই চলিয়া যাওয়া সঙ্গত হইবে না ! তখন তিনি অশোকবন ভগ্ন করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন।