পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vely जोडांदी গ্ৰহণ করুন। আপনার বিবেচনার ক্রটিতে এই সোণার লঙ্কা ছারখার হইয়া যাইবে ; আমরা সবংশে নিহত হইব । আমি দিব্যচক্ষে দেখিতে পাইতেছি, রামচন্দ্রের সহিত যুদ্ধ করিতে কেহই সমর্থ হইবেন না। এখনও সময় আছে ; রামচন্দ্রের হস্তে সীতাদেবীকে সমৰ্পণ করিয়া তাহার সহিত মিত্ৰতা করুন, নতুবা সর্বনাশ সুনিশ্চিত।” বিভীষণের কথা শুনিয়া রাবণ ক্ৰোধে জ্বলিয়া উঠিলেন ; বিভীষণের প্রতি নানা দুর্বাক্য প্রয়োগ করিতে লাগিলেন । অবশেষে বলিলেন, “তোর যদি এত ভয় হইয়া থাকে, তাহা হইলে তুই এ রাজপুরী হইতে চলিয়া যা ; সেই ভিখারী রামের দাসত্বে জীবন অতিবাহিত কর।” বিভীষণ বলিলেন “পতন-সময়ে সকলেরই বুদ্ধিভ্রংশ হইয়া থাকে; আপনারও তাঁহাই হইয়াছে। আপনার দোষেই এই সোণার লঙ্কা ছারখারে যাইবে । আপনার বংশে বাতি দিবার জন্য কেহ রহিবে না ।” এই কথা শুনিয়া রাবণ ক্ৰোধে আত্মহারা হইলেন এবং বিভীষণকে পদ্যুঘাত করিয়া রাজসভা হইতে দূর করিয়া দিলেন। বিভীষণ তখন সমুদ্র পার হইয়া রামের শরণাগত হইলেন এবং সমস্ত কথা নিবেদন করিলেন । রামচন্দ্ৰ বিভীষণের ন্যায় মিত্র লাভ করিয়া বুঝিলেন যে, ভগবান তাহার উপর প্রসন্ন হইয়াছেন, নতুবা তঁহার অদৃষ্টে এমন পরম-উপকারী মিত্ৰলাভ হইবে কেন ? বিভীষণ যেমন