পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতাদেবী AY সম্মতি প্ৰদান করিলে রাবণ স্বয়ং রামের ছিন্নমুণ্ড ও শরাসন লইয়া সীতার নিকট উপস্থিত হইলেন এবং তঁহাকে ঐ মুণ্ড ও শরাসন দেখাইলেন। সীতা ঐ মায়ামুণ্ডকেই রামের প্রকৃত মুণ্ড মনে করিয়া স্বামীশোকে মুচ্ছিতা হইয়া পড়িলেন। পরে চেতনালাভ করিয়া পাগলিনীর ন্যায় রাবণকে বলিলেন “ওরে দুরাশয়, তুই কি করিয়াছিস্ ! তুই সত্যসত্যই এতদিনে আমাকে অনাথা করিলি ! আমি তোকে অভিশাপ দিব না। তুই যে কাৰ্য্য করিয়াছিস, তাহার ফল তোকে ভোগ করিতে হইবে! তুই কি মনে করিয়াছিল। আমি এখন তোর হস্তে আত্মসমর্পণ করিব ? সে কথা তুই মনেও স্থান দিস না। আমি এই দণ্ডেই প্ৰাণত্যাগ করিয়া স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে চলিয়া যাইব ।” রাবণ যাহা মনে করিয়া এই মিথ্যা ব্যাপারের অনুষ্ঠান করিলেন, তাহ সফল হইল না। দেখিয়া, সেই দিনই সীতার প্রাণবধ করিবেন বলিয়া সেখান হইতে চলিয়া গেলেন। সীতাদেবী স্বামীশোকে অধীর হইয়া হাহাকার করিতে লাগিলেন । রাবণ চলিয়া গেলে, সরমা দ্রুতগতি সেখানে উপস্থিত হইলেন এবং সীতাকে নিতান্ত শোকাকুলা দেখিয়া বলিলেন “দেবি, আপনি এতদিন এই রাক্ষসপুরে বাস করিয়াও এখানকার মায়ার খেলা বুঝিতে পারিতেছেন না ? আপনি কি জন্য শোক করিতেছেন ? পৃথিবীতে এমন কে আছে যে রামচন্দ্রের প্রাণবধ করিতে পারে ? রাক্ষসরাজ। আপনাকে