পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

qAS সীতাদেবী ভয় দেখাইয়া বশীভূত করিবার জন্য মায়ামুণ্ড প্ৰস্তুত করাইয়াছেন। দেবি, ঐ শুনুন বানর-শিবির হইতে জয়ধ্বনি হইতেছে, বানর-সৈন্য যুদ্ধের জন্য প্ৰস্তুত হইতেছে। ইহা শুনিয়াও কি আপনি বুঝিতে পারিতেছেন না যে, রামচন্দ্রের কোন অমঙ্গল হয় নাই ? আপনি আশ্বস্তা হউন।” সরমার কথা শুনিয়া সীতাদেবী আশ্বস্ত হইলেন, তাহার ভ্রম দূর হইল। রাবণ দেখিলেন, যুদ্ধ ব্যতীত উপায় নাই। তখন রাক্ষসসৈন্য যুদ্ধের জন্য সজ্জিত হইতে লাগিল। বড় বড় রাক্ষসবীর যুদ্ধযাত্রার জন্য প্ৰস্তুত হইতে লাগিল। তাহার পরই লঙ্কাকাণ্ড আরব্ধ হইল,—প্রতিদিন ভীষণ যুদ্ধ হইতে লাগিল। বানর ও রাক্ষসের রক্তে নদী বাহিতে লাগিল ; রণস্থল। মৃতদেহে আচ্ছন্ন হইতে লাগিল। রাক্ষস-পক্ষের যিনি যুদ্ধে গমন করেন, তিনি আর ঘরে ফিরিয়া যাইতে পারেন না ; কেবল রাবণ ও তঁহার বীরপুত্ৰ ইন্দ্ৰজিৎ কখনও বা পরাজিত হইয়া লঙ্কায় প্রবেশ করেন, কখনও বা যুদ্ধে জয়লাভ করিয়া গৃহে প্ৰতিগমন করেন। একদিন ইন্দ্ৰজিৎ ভয়ানক যুদ্ধ করিয়া রাম ও লক্ষণকে নাগপাশে আবদ্ধ করিয়া ফেলেন ; কিন্তু বানারগণের চেষ্টায় তাহারা মুক্তিলাভ করেন। রাক্ষসদিগের মধ্যে যত বড় বড় বীর ছিলেন, একে একে সকলেই যুদ্ধক্ষেত্রে জীবন বিসর্জন দিতে লাগিলেন ; কুম্ভ, নিকুন্তু, অতিকায়, মকরাক্ষ, বীরবাহু, কুম্ভকৰ্ণ প্ৰভৃতি মহাবীর সকল এই যুদ্ধে প্ৰাণত্যাগ করিলেন । রাবণ তখন বুঝিতে