পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতাদেবী \SO পারিলেন যে, এ কালসমরে কাহারও পরিত্রাণ নাই ; রাবণংশ ধ্বংস করিবার জন্যই তিনি কুক্ষণে সীতাদেবীকে লঙ্কায় আনিয়াছেন। কিন্তু এখন অনুশোচনা বৃথা ; তিনি নিজের বুদ্ধির দোষে, প্ৰবৃত্তির মোহে মুগ্ধ হইয়া যে পাপকাৰ্য্যের অনুষ্ঠান করিয়াছেন, তাহার ফল তঁহাকে ভোগ করিতেই হইবে। এখন আর রামের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিবার সময় নাই ; এখন এই মহাসমরে জীবন বিসর্জন করিয়া পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিতেই হইবে । এদিকে বানর সৈন্য দেখিল যে, সকলের সহিতই যুদ্ধে তাহারা জয়ী হইতেছে, কেবল ইন্দ্ৰজিতের সহিতই তাহারা হারিয়া যাইতেছে। ইন্দ্ৰজিৎ, শত্রুবিজয়ী হইবার জন্য লঙ্কার মধ্যে নিকুস্তিলা যজ্ঞ আরম্ভ করিয়া দিলেন। এই যজ্ঞে আহুতি প্ৰদানের পর তিনি যেদিন সমর-প্ৰাঙ্গণে অবতীর্ণ হইবেন, সেদিন কাহারও সাধ্য হইবে না যে তঁহাকে পরাজিত করে। এই সংবাদ অবগত হইয়া একদিন গোপনভাবে বিভীষণ ও লক্ষণ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে প্রবেশ করিলেন। ইন্দ্ৰজিৎ তখন যজ্ঞকাৰ্য্যে ব্যস্ত ছিলেন । সেখানে যে লক্ষণ বা বিভীষণ প্ৰবেশ করিতে পরিবেন, এ কথা তিনি স্বপ্নেও ভাবেন নাই । তঁহার নিকট তখন অস্ত্রশস্ত্রও ছিল না। এই অসহায় অবস্থায় লক্ষমণকে দেখিয়া তিনি শঙ্কিত হইলেন। লক্ষমণ তঁহাকে অতর্কিতভাবে আক্রমণ করিলেন ; নিরস্ত্ৰ ইন্দ্ৰজিৎ যতক্ষণ পারিলেন, ততক্ষণ