পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ8 সীতাদেবী একাকী বিপুলবিক্রমে যুদ্ধ করিলেন। অবশেষে সেই যজ্ঞাগারেই তঁহার দেহাবসান হইল ; লঙ্কার একমাত্র অবলম্বন ইন্দ্ৰবিজয়ী মহাবীর মেঘনাদ এতদিন পরে লক্ষমণের হস্তে নিহত হইলেন । মেঘনাদবধের সংবাদ পাইয়া রাবণ ক্ৰোধে উন্মত্তবৎ হইলেন । তিনি প্ৰতিজ্ঞা করিলেন, লক্ষণের রক্তে তিনি আজ পুত্ৰশোক নির্বাপিত করিবেন। সৈন্য সকল দলে দলে সজ্জিত হইল ; বড় বড় সেনাপতি আজ রাবণের অনুগমন করিল। এ দিনে যে ভয়ানক যুদ্ধ হইল, তাহার তুলনা হয় না। এই যুদ্ধে রাবণ-নিক্ষিপ্ত শক্তিশেলে লক্ষণ ধরাশায়ী হইলেন। রাক্ষসদল প্ৰতিহিংসা চরিতাৰ্থ করিয়া লঙ্কায় প্ৰবেশ করিল। বানর-শিবিরে হাহাকার উপস্থিত হইল ; রামচন্দ্ৰ লক্ষমণের শোকে অধীর হইয়া ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন। বানর দলের মধ্যে সুষেণ চিকিৎসা-বিদ্যায় অদ্বিতীয় ছিলেন । তিনি বলিলেন, “এই রাত্রির মধ্যে কেহ যদি বিশল্যকরণী লতা আনিয়া দিতে পারে, তাহা হইলে আমি ঠাকুর লক্ষণের প্রাণরক্ষা করিতে পারি।” বিশল্যকরণী যেখানে-সেখানে পাওয়া যায় না ; বহুদূরে গন্ধমাদন পর্বতে সেই লতা পাওয়া যায়। কাহার সাধ্য যে এই রাত্রির মধ্যে সেই লতা লইয়া আসে ! যাহা সকলের অসাধ্য, তাহা প্ৰভুভক্ত হনুমানের সাধ্য। হনুমান বলিলেন, “আমি, গন্ধমাদন পর্বত হইতে বিশল্যকরণী আনিব।” পবননন্দন তখন