পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

औऊाgातै ዓውr পবনবেগে গন্ধমাদন পর্বতের উদেশে চলিয়া গেলেন । একে অন্ধকার রাত্রি, তাহাতে সেই লতা তঁহার অপরিচিত। হনুমান তখন গন্ধমাদন পর্বতে যে সমস্ত লতা দেখিলেন, গাছপাথর শুদ্ধ। তৎসমস্ত লইয়া রাত্রির মধ্যেই লঙ্কায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। বৈদ্যরাজ তখন তাহারই মধ্য হইতে বিশল্যকরণী বাছিয়া বাহির করিলেন এবং তাহার রসের দ্বারা ঔষধ প্ৰস্তুত করিয়া লক্ষণের নাসারান্ধে, প্ৰবেশ করাইয়া দিলেন এবং সর্ববঙ্গে প্রলেপ দিলেন। দেখিতে দেখিতে লক্ষণ সংজ্ঞালাভ করিলেন ; বানর-সৈন্যমধ্যে জয়ধ্বনি হইতে লাগিল । রাবণ এই জয়ধবনির কারণ অনুসন্ধান করিয়া অবগত হ২লেন যে, শক্তিশেলে মৃত লক্ষণ পুনরায় জীবিত হইয়াছেন। তখন তিনি বুঝিলেন, এ সংগ্রামে আর র্তাহার নিস্তার নাই। এইবার শেষ যুদ্ধ। এ ভয়ানক যুদ্ধের বর্ণনা করা অসম্ভব। রাবণ আজ প্ৰতিজ্ঞা করিয়াছেন, হয়। রামচন্দ্ৰ আজ যুদ্ধক্ষেত্রে জীবন বিসর্জন দিবেন, আর না হয় তিনিই প্ৰাণত্যাগ করিবেন । তুমুল যুদ্ধ আরম্ভ হইল। রাম ও রাবণ উভয়েই যুদ্ধ-বিদ্যায় বিশারদ। বহুক্ষণ যুদ্ধের পর রাবণ জীবন বিসর্জন দিলেন। বিভীষণ জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার মৃত্যুতে শোক প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন। অবশেষে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া যথারীতি সম্পাদিত হইল। তখন সকলে দেখিল “এক লক্ষ পুত্র যার সওয়া লক্ষ নাতি ; এক জন নাই তার বংশে দিতে বাতি ।”