পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yo সীতাদেবী রহিলেন। তখন রাম ধীরে ধীরে সীতাদেবীকে বলিলেন, “প্রিয়ে জানকী । আমি কঠোর কৰ্ত্তব্যের অনুরোধে তোমার উদ্ধার-সাধনে ব্ৰতী হইয়াছিলাম। দুষ্টমতি চোর আমার সহধৰ্ম্মিণীকে হরণ করিয়া আনিয়াছিল, তাহার অপরাধের দণ্ডবিধান আমার কৰ্ত্তব্য । আমি সে কৰ্ত্তব্য পালন করিয়াছি ; দুরাচার রাবণ সবংশে নিহত হইয়া সে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিয়াছে। আমার কৰ্ত্তব্য শেষ হইয়াছে। তুমি এতদিন পরগৃহে অবস্থান করিয়াছ ; তুমি স্বামী, পিতা বা কোন আত্মীয়ের আশ্রয়ে এতদিন ছিলে না । এ অবস্থায় তোমাকে গ্ৰহণ করা কি কোন সৎকুলজাত পুরুষের কৰ্ত্তব্য ? আমি তোমাকে কেমন করিয়া গ্ৰহণ করিব ? কৰ্ত্তব্যের অনুরোধে তোমার উদ্ধার-সাধন করিলাম, কৰ্ত্তব্যের অনুরোধেই তোমার সংসৰ্গ ত্যাগ করিতে বাধ্য হইতেছি । আমার পক্ষে উপায়ান্তর নাই।” রামচন্দ্রের কণ্ঠস্বর কম্পিত হইল ; তিনি অবনতবদনে বসিয়া রহিলেন । রামের এই কথা শ্রবণ করিয়া সীতাদেবী। কিয়ৎক্ষণ স্তম্ভিত হইলেন। অন্য কোন রমণী স্বামীর মুখে এমন কথা শ্রবণ করিলে শোকে সংজ্ঞা শুন্যা হইতেন ; কিন্তু সীতা রমণীকুলের অলঙ্কার। রামচন্দ্রের মুখে এই নিদারুণ বাক্য শুনিয়া তিনি লজ্জায় ও অপমানে ব্যথিত হইলেন সত্য, কিন্তু বিচলিত হইলেন না । পাতিব্ৰত্যের পবিত্ৰ প্ৰভায় তঁহার হৃদয় প্ৰভাসিত হইয়া উঠিল। তিনি অতি ধীর ও