পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতাদেবী by Nà সংযতকণ্ঠে পতির অবনত মুখে দৃষ্টি সন্নদ্ধ করিয়া বলিলেন, “রাজন । তোমাকে এখন আর অন্য নামে সম্বোধন করিতে পারিলাম না ; ক্ষমা করিও । তুমি এখন রাজা, তুমি ন্যায়ের কঠোর দণ্ড গ্ৰহণ করিয়া বিচারকের আসনে উপবিষ্ট ; তাই তোমাকে “রাজনী বলিয়া সম্বোধন করিলাম। রাজন। তুমি রাজার উপযুক্ত কথা বলিয়াছ ; কিন্তু তুমি স্বামীর উপযুক্ত কথা বল নাই। আমি যদি রামপ্ৰিয়া না হইতাম, তাহা হইলে এ দণ্ড অকাতরে, অমানবদনে গ্ৰহণ করিতাম। কিন্তু রাজন। আমি ত সামান্য রমণী নহি যে, তুমি আমার উপর এই কঠোর দণ্ড বিধান করিলে। আমি রঘুকুলবধু, আমি জনকনন্দিনী, আমি সূৰ্য্যবংশের অমূল্য মণি মহাবীর রামচন্দ্রের সহধৰ্ম্মিণী ; দণ্ডবিধানের সময় এ কথা কি তোমার স্মৃতি পথে উদিত হইল না ? দুরাত্মা রাবণ আমাকে স্পর্শ করিয়াছিল, কিন্তু আমি তখন অসহায়া । তাহার পর এই এক বৎসরকাল আমি কি ভাবে যাপন করিয়াছি, তাহার অনুসন্ধান করা কি ন্যায়পরায়ণ বিচারকের কৰ্ত্তব্য ছিল না ? মহারাজ দশরথের নন্দনকে কি রাজধৰ্ম্ম শিক্ষা দিতে হইবে ? অার এক কথা ; আমার প্রতি এই মৃত্যুদণ্ডের বিধানের পূর্বে হে রাজন। একবার কি নিজের হৃদয়কে কথাটা জিজ্ঞাসা করিয়াছিলে ? রঘুকুলপতি । আমি মৃত্যুকে ভয় করি না। যে দণ্ডে তুমি আমার প্রতি সন্দেহ করিয়াছ, সেই দণ্ডেই আমার মৃত্যুদণ্ড হইয়াছে ; তবুও যে এতগুলি কথা বলিলাম, তাহা V