পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b8 সীতাদেবী রামচন্দ্র তখন সীতার সমীপবৰ্ত্তী হইয়া বলিলেন “সাধিব, এ কাৰ্য্য তোমারই উপযুক্ত, ইহা তোমাতেই সন্তবে। আজ তুমি পৃথিবীর সম্মুখে যে দৃষ্টান্ত দেখাইলে, যতদিন পৃথিবীতে মানবজাতি থাকিবে, ততদিন তোমার এই মহীয়সী। কীৰ্ত্তি ঘোষিত হইবে। তোমারই সতীমাহাত্ম্য জগৎকে দেখাইবার জন্য দেবগণ তোমার এই পরীক্ষা গ্ৰহণ করিলেন । দেবি, আমি এ ব্যাপারে নিমিত্তমাত্র।” এই বলিয়া রামচন্দ্ৰ সীতার করাধারণা করিলেন । পতিপ্ৰাণ সীতা তখন সমস্ত অপমান, সমস্ত কঠোর বচন ভুলিয়া গেলেন ; তাহার হৃদয় তখন অপার্থিব আনন্দে পরিপূর্ণ হইল। তিনি রামচন্দ্রের পদধূলি মস্তকে লাইলেন। রাম-জানকীর এই অপূর্ব মিলন দর্শনে সকলে পুনরায় জয়ধ্বনি করিলেন ; স্বৰ্গ হইতে দেবগণ পুষ্পবৃষ্ট্রি করিতে লাগিলেন। তাহার পর শুভদিনে বিভীষণকে লঙ্কার রাজপদে অভিষিক্ত করিয়া বানর ও রাক্ষস-সৈন্য সমভিব্যাহারে রামচন্দ্ৰ অযোধ্যা-অভিমুখে যাত্ৰা করিলেন। তঁহার চতুর্দশ বৎসর বনবাসকাল শেষ হইয়া গিয়াছিল । রামচন্দ্ৰ দেশে আগমন করিতেছেন শুনিয়া অযোধ্যায় আনন্দ-কোলাহল উত্থিত হইল। ভরত কিছুদূর অগ্রসর হইয়া রামচন্দ্রের চরণ-বন্দনা করিলেন। রামচন্দ্র তখন সুগ্ৰীব, বিভীষণ, হনুমান ও অন্যান্য বীরগণের সহিত ভারতের পরিচয় করাইয়া দিলেন। তাহার পর রাম, লক্ষণ ও সীতা অন্তঃপুরে প্রবেশ